বাড়িতে বাঘের মাথার খুলি, শতাধিক হাড়, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ
বাগেরহাটের শরণখোলায় এক বন্যপ্রাণী পাচারকারীর বাড়ি থেকে পাওয়া গেছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মাথার খুলি, হাঁড় ও বিভিন্ন অঙ্গ। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বনসংলগ্ন সোনাতলা গ্রামে ছগির ঘরামী নামের ওই যুবককে আটক করা হয়। তাঁর বাড়ি থেকে একটি বাঘের মাথার খুলিসহ ১৫৭টি হাঁড়, বিভিন্ন অঙ্গের ২০টি খণ্ড, মূল শিরা (বাঘের ধমনী, যা কঙ্কাল জোড়া দিতে অপরিহার্য) ও নাইলনের দড়ি দিয়ে তৈরি ২০টি হরিণ শিকারের ফাঁদ জব্দ করেছে বনবিভাগ।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. কামাল আহম্মেদ বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে তাঁরা দুর্ধর্ষ ও চিহ্নিত বন্যপ্রাণী শিকারী ছগির ঘরামীর সোনাতলা গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় তাঁর বাড়ি তল্লাশি করে পাচারের অপেক্ষায় মজুদ রাখা একটি বাঘের কঙ্কালের বিভিন্ন অংশ বস্তাবন্দি অবস্থায় পাওয়া যায়।
ছগিরকে আটকেরপর তাঁর বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা করা হয়েছে। বনসংরক্ষক মো. কামাল জানিয়েছেন, ছগিরের বাবা ইউসুফ ঘরামীসহ পাঁচ ভাইয়ের সবাই সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচারের সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘদিন ধরে ছগির ও ইউসুফ ঘরামীকে আটকের চেষ্টা চলছিল।
মো. কামাল আরো জানান, ছগিরের বিরুদ্ধে সুন্দরবনের বাঘ-হরিণসহ বন্যপ্রাণী হত্যা ও পাচারের অভিযোগে আরো ছয়টি মামলা মামলা রয়েছে। চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি মোরেলগঞ্জ উপজেলার নব্বইরশি বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বাঘের চামড়াসহ ছগির ঘরামীর ভাই নূরুজ্জামান ঘরামীকে আটক করেন র্যাব ৮-এর সদস্যরা। ওই মামলায় ছগির এবং তাঁর অন্য এক ভাইও আসামী।