হত্যার দায়ে কিশোরের ১০ বছর সাজা
নারায়ণগঞ্জে নবম শ্রেণির ছাত্র রাকিবুল হাসান ইমন হত্যা মামলায় আল আমীন নামের এক কিশোরকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশু আইনে এ রায় দেন জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ মামুনুর রশিদ।
দণ্ড ঘোষণার সময় আসামি আল আমীন আদালতে উপস্থিত ছিল। আল আমীন নিহত ইমনের চাচাতো ভাই।
বাদীপক্ষের আইনজীবী নবী হোসেন জানান, ২০১৪ সালে ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় খেলার মাঠ থেকে ফেরার পথে প্রবাসী নুরু মিয়ার ছেলে ইমনকে অপহরণ করে তারই চাচাতো ভাই আল আমীনসহ পাঁচজন। রাতে মোবাইল ফোনে ইমনের মা ফেরদৌসী বেগমের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আল আমীন ও তার সহযোগিরা।
ওই রাতেই ইমনকে জবাই করে মৃতদেহ বস্তায় ভরে একটি পুকুরের পানিতে কচুরিপানার ভেতর লুকিয়ে রাখে। দুই দিন পর পুলিশ ইমনের লাশ উদ্ধার করে।
ইমন নিখোঁজ হওয়ার পর বন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার মা ফেরদৌসী বেগম। লাশ উদ্ধারের পর পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। আল আমীন ছাড়া অন্য চার আসামি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় আগামী এক জুন থেকে ওই আসামিদের বিচারকাজ শুরু করবেন আদালত।
এ ব্যাপারে সরকারপক্ষের আইনজীবী আবদুর রহিম সাংবাদিকদের বলেন, আদালত আসামিকে শিশু আইনে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজা প্রদান করেছেন। এই রায়ের দ্বারা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি আরো জানান, অন্য আসামিদের তিনজন আটক এবং একজন পলাতক। এ আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য রাষ্ট্রপক্ষকে সহযোগিতা করব।
আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে ইমনের মা ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘মামলায় একজনের রায় হয়েছে। বিচারে সন্তুষ্ট আমি। ছেলেকে তো আর পাব না। বিচার পেয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘অন্য সহযোগীদেরও আমি দ্রুত বিচার চাই।’