সাতক্ষীরায় আরডিপির বিরুদ্ধে মামলা, বেশির ভাগ কর্মকর্তা পলাতক
অধিক মুনাফার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাতক্ষীরার ২০ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৪৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আরডিপি ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট নামক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার শিকার আবদুর রাজ্জাক গত বুধবার রাতে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ৬০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় আটক চারজনকে মামলার আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। সদর উপজেলার আরডিপি কার্যালয়ে বুধবারের অভিযানে আবদুল হান্নান, সফিকুল ইসলাম, মো. রোকনুজ্জামান ও নাসিমা খাতুনকে আটক করে সদর থানা পুলিশ।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন, সাতক্ষীরায় আরডিপির বিভিন্ন শাখার ব্যবস্থাপকরা এখন পলাতক। জানা গেছে, সাতক্ষীরার ব্যবস্থাপক শ্যামনগরের জুলকার নাইন, কালীগঞ্জের মসিউর রহমান, শ্যামনগরের রবিউল ইসলাম, আশাশুনির আজিম, নলতার হাফিজুল্লাহ, পাটকেলঘাটার শহিদুল ইসলামসহ সব কার্যালয়ের ব্যবস্থাপকরা পালিয়ে গেছেন। সুযোগ বুঝে অন্য কর্মকর্তারাও গা-ঢাকা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সাতক্ষীরার ব্যবস্থাপক জুলকার নাইন শ্যামনগরে ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা ছিলেন।
সাতক্ষীরা থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) হেদায়েত হোসেন বলেন, ‘আরডিপিতে জমাকৃত ৪৫ কোটি টাকার বড় অংশই ঢাকা অফিস আগেই হাতিয়ে নিয়েছে। সাতক্ষীরার একটি ব্যাংকে তাদের কিছু টাকা পড়ে রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে এই টাকা দিয়ে ২০ হাজার গ্রাহকের দাবি মেটানো সম্ভব নয়।’
এদিকে, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘কালীগঞ্জ ও নলতা আরডিপি কার্যালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজেদের অফিসে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছেন। সেখানকার শত শত গ্রাহক এখন তাঁদের টাকা ফিরে পেতে বিভিন্ন স্থানে ধরনা দিচ্ছেন।’