কুষ্টিয়ায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ২ নেতা গ্রেপ্তার
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/11/01/photo-1478013021.jpg)
কুষ্টিয়ার ঝাউদিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর আলাউদ্দিন নগর থেকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি ও মাদক জব্দ করার দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মজিদ ও ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান। অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে তাদের কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
র্যাব-১২ কুষ্টিয়ার কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোসাদ্দেক ইবনে মুজিব জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতে আলাউদ্দিন নগরের রাস্তা থেকে আবদুল মজিদ ও মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি গুলি ও ১০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়। মজিদ ট্রিপল মার্ডার মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর ও মেহেদী হাসান ৩ নম্বর আসামি।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে জেলার সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের মণ্ডলপাড়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সদস্য কেরামত আলী এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বখতিয়ার হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়। ওই দিন চেয়ারম্যান কেরামত আলী পক্ষের সমর্থক ইমান আলী মণ্ডল (৪২) ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত ছয়জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখানে একই পক্ষের শাহাবুদ্দিন (৪৫) নামে আরো একজন মারা যান। আকাম উদ্দিন ওরফে আকাইলকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ১৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৯ অক্টোবর সকালে সেখানে মারা যান তিনি। ওই সংঘর্ষের পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর নিহত ইমান আলীর চাচাতো ভাই কামরুল হাসান বাদী হয়ে ৭৯ জনের বিরুদ্ধে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় প্রধান আসামি ঝাউদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বখতিয়ার হোসেনসহ নয়জন কারাগারে রয়েছেন।