এম আর খানের মৃত্যুতে সাতক্ষীরায় শোকের ছায়া
শিশুস্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিজ্ঞানে পথিকৃৎ জাতীয় অধ্যাপক এম আর খানের মৃত্যুতে সাতক্ষীরার সর্বস্তরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আজ শনিবার বিকেলে তাঁর মৃত্যুর খবর সাতক্ষীরায় পৌঁছাতেই সব স্তরের মানুষ বেদনা ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন।
ডা. এম আর খান ছিলেন সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতাল, শিশুস্বাস্থ্য ফাউন্ডেশন, এম আর খান ও আনোয়ারা ট্রাস্ট, রসুলপুর হাইস্কুল, রসুলপুর ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। নিজের চাকরিজীবনের পেনশনের টাকা দিয়ে তিনি এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি এই ট্রাস্ট থেকে শিশুস্বাস্থ্যে অনুদান এবং গরিব শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করেন।
১৯২৮ সালের ১ আগস্ট সাতক্ষীরার রসুলপুরে জন্মগ্রহণ করেন এম আর খান। ডা. মোহাম্মদ রফি খান সংক্ষেপে ডা. এম আর খান সাতক্ষীরার পিএন উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। এরপর কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা মেডিকেল কলেজ এবং পরবর্তীতে যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করে চিকিৎসাসেবায় আত্মনিয়োগ করেন।
শিশুস্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত দরদি এই মানুষটি সাতক্ষীরার গর্ব হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরায় এলেই তাঁর কাছে অসুস্থ শিশুদের দেখানোর জন্য ভিড় লেগে থাকত। তাঁর জাদুস্পর্শে শিশুরা সুস্থ হয়ে উঠত। গত বছর ২২ আগস্ট সাতক্ষীরায় সামাজিক সংগঠন চেতনার উদ্যোগে মাদকবিরোধী এক শোভাযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন এম আর খান। এ সময় তিনি বলেন, ‘মাদকের থাবা থেকে শিশুদের রক্ষা করতেই হবে।’ তিনি এ সময় শিশু সুরক্ষার ডাক দেন।
সাতক্ষীরার এই গুণী মানুষের মৃত্যুতে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন সাতক্ষীরা শাখা, তাঁর নিজ হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী-শিক্ষার্থী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবসহ সাতক্ষীরার সকল স্তরের মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলেন, এম আর খানের মৃত্যুতে শিশু স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে ক্ষতি হলো তা পূরণ হওয়ার নয়।