বরগুনায় ‘সিডর দিবস’ পালিত
শোকর্যালি, স্মরণসভা, চিত্রপ্রদর্শনী, দোয়া অনুষ্ঠান ও নিহত ব্যক্তিদের গণকবরে ফুল দেওয়ার মধ্য দিয়ে বরগুনায় পালিত হয়েছে নবম সিডর দিবস।
এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে বরগুনা প্রেসক্লাব চত্বর থেকে একটি শোকর্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবার প্রেসক্লাব চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালি শেষে বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরগুনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. বশিরুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ, বরগুনা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আব্বাস হোসেন মন্টু, সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগ, জেলা এনজিও উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব মৃধা, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আক্তারুজ্জামান বাহাদুর প্রমুখ।
বরগুনা প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা কাদেরের সভাপতিত্বে সভার সঞ্চালনা করেন বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মো. সালেহ।
স্থানীয় বিভিন্ন উন্নয়ন সংগঠনের শতাধিক ব্যক্তিবর্গ সিডর দিবসের এ র্যালি ও আলোচনা সভায় অংশ নেয়।
আলোচনা সভা শেষে বরগুনা সদর উপজেলার গর্জনবুনিয়া গ্রামে সিডরে নিহতদের একটি গণকবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
নলটোনা ইউপির আয়োজনে গণকবরে ফুল দেন বরগুনার ডিসি ড. মুহা. বশিরুল আলম, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদ, বরগুনা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আব্বাস হোসেন মন্টু, সদর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগ, নলটোনা ইউপির চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর প্রমুখ।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরে শুধু বরগুনা জেলায় এক হাজার ৩৪৫ জনের মৃত্যু হয়। নিখোঁজ হয় ১৫৬ জনেরও বেশি মানুষ। এ ছাড়া এক লাখেরও বেশি গৃহপালিত হাঁস-মুরগি ও গবাদি পশু মারা যায়। এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুই লাখেরও বেশি পরিবার। সম্পূর্ণ গৃহহীন হয়ে পড়ে ৭৭ হাজার ৭৫৪টি পরিবার।