সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যায় নয়জনের যাবজ্জীবন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/11/30/photo-1480492526.jpg)
খুলনার সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলায় ১১ আসামির মধ্যে নয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন।
বিচারক তাঁর পর্যবেক্ষণে নিহতের কোনো স্বজন ও সাংবাদিক সাক্ষ্য দেননি বলে উল্লেখ করেন।
মানিক সাহা হত্যাকাণ্ড ও বিস্ফোরক মামলার সাক্ষী তাঁর মেয়ে মৌমিতা সাহা বিদেশে আছেন। তাই তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি।
রায় ঘোষণার সময় আজ এ মামলার পাঁচজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি ছয় আসামি পলাতক।
২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাব থেকে শহরের আহসান আহমেদ রোডে নিজ বাসায় রিকশাযোগে ফেরার পথে চরমপন্থীদের বোমা হামলায় মানিক সাহা নিহত হন। তিনি খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক সংবাদের ব্যুরোপ্রধান ছিলেন। তাঁকে মরণোত্তর একুশে পদক দেওয়া হয়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি সাংবাদিক মানিক সাহাকে হত্যার পর ১৭ জানুয়ারি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রঞ্জিত কুমার দাস বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় মামলা করেন। একই দিন একই থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে অন্য একটি মামলা দায়ের হয়।
হত্যাকাণ্ডের ছয় মাসের মাথায় ২০০৪ সালের ২০ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক কাজী আতাউর রহমান ও সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশাররফ হোসেন ১০ চরমপন্থীকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এরপর ২০০৭ সালের ২ ডিসেম্বর এ মামলার পরবর্তী তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার ওসি মো. ইকবাল হোসেনসহ পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তার সমন্বয়ে আদালতে দাখিল করা সম্পূরক অভিযোগপত্রে আরো একজনের নাম উঠে আসে। সব মিলিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ১১ চরমপন্থীর নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়।
অন্যদিকে, বিস্ফোরক আইনের মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার এসআই আসাদুজ্জামান ফরাজী একই বছরের ১৯ মার্চ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ৫৪ সাক্ষীর মধ্যে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষার দিন ধার্য করেন খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী। এরপর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মামলাটি খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়।
চলতি মাসের ২১ নভেম্বর এ মামলার সাক্ষী ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান আবদুস সামাদের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব। ২২ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক চলে।
এরপর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য করেন।
মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১৩ জন। সম্পূরক অভিযোগপত্রে আরো একজনকে অভিযুক্ত করায় মোট আসামি হয় ১৪ জন। এর মধ্যে তিনজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। তাঁরা হলেন আবদুর রশিদ, আলতাফ ওরফে বিডিআর আলতাফ ও মাহফুজ ওরফে মাফিজ ওরফে নাসিম ওরফে শফিকুল ইসলাম। জীবিত আসামির সংখ্যা ১১ জন। তাঁরা হলেন আকরাম হোসেন হাওলাদার ওরফে আকরাম হাওলাদার ওরফে বোমারু হাওলাদার, আলী আকবর শিকদার ওরফে শাওন, হাই ইসলাম, নুরুজ্জামান, মিঠুন, সুমন, সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, বেল্লাল ওরফে বুলবুল, কচি ওরফে ওমর ফারুক, সাকা ওরফে সাকাওয়াত হোসেন ও সরোয়ার হোসেন ওরফে সরো। আজ বেলা ১টা ১০ মিনিটে মামলার পাঁচ আসামিকে আদালতের এজলাসে আনা হয়। এ মামলার বাকি ছয় আসামি পলাতক রয়েছেন।
যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া নয়জন হলেন বুলবুল, আকরাম, আলী আকবার, নুরুজ্জামান ওরফে সুমন, সরোয়ার, মিঠুন, সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, শওকত হোসেন সাকা ও বেলাল। আর বেকসুর খালাস পাওয়া দুজন হলেন হাই ইসলাম কচি ও ওমর ফারুক কচি।
দীর্ঘ এক যুগ পর সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার রায় শোনার জন্য আদালত প্রাঙ্গণে মিডিয়াকর্মীদের সঙ্গে উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ করা যায়। তবে সাংবাদিক নেতারা মামলার রায়ে খুশি হতে পারেননি।
আদালতের রায় ঘোষণার পর আসামির স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মানিক সাহা হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন কাজী আবু শাহিন ও এনামুল হক। আর আসামিপক্ষে ছিলেন মামুনুর রশিদ।
অন্যদিকে, বিস্ফোরক আইনের মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার এসআই আসাদুজ্জামান ফরাজী একই বছরের ১৯ মার্চ ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত ৫৪ সাক্ষীর মধ্যে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষার দিন ধার্য করেন খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী। এরপর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মামলাটি খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়।
চলতি মাসের ২১ নভেম্বর এ মামলার সাক্ষী ম্যাজিস্ট্রেট দেওয়ান আবদুস সামাদের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব। ২২ থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক চলে।
এরপর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য করেন।
মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১৩ জন। সম্পূরক অভিযোগপত্রে আরো একজনকে অভিযুক্ত করায় মোট আসামি হয় ১৪ জন। এর মধ্যে তিনজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। তাঁরা হলেন আবদুর রশিদ, আলতাফ ওরফে বিডিআর আলতাফ ও মাহফুজ ওরফে মাফিজ ওরফে নাসিম ওরফে শফিকুল ইসলাম। জীবিত আসামির সংখ্যা ১১ জন। তাঁরা হলেন আকরাম হোসেন হাওলাদার ওরফে আকরাম হাওলাদার ওরফে বোমারু হাওলাদার, আলী আকবর শিকদার ওরফে শাওন, হাই ইসলাম, নুরুজ্জামান, মিঠুন, সুমন, সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, বেল্লাল ওরফে বুলবুল, কচি ওরফে ওমর ফারুক, সাকা ওরফে সাকাওয়াত হোসেন ও সরোয়ার হোসেন ওরফে সরো। আজ বেলা ১টা ১০ মিনিটে মামলার পাঁচ আসামিকে আদালতের এজলাসে আনা হয়। এ মামলার বাকি ছয় আসামি পলাতক রয়েছেন।
যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া নয়জন হলেন বুলবুল, আকরাম, আলী আকবার, নুরুজ্জামান ওরফে সুমন, সরোয়ার, মিঠুন, সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, শওকত হোসেন সাকা ও বেলাল। আর বেকসুর খালাস পাওয়া দুজন হলেন হাই ইসলাম কচি ও ওমর ফারুক কচি।
দীর্ঘ এক যুগ পর সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার রায় শোনার জন্য আদালত প্রাঙ্গণে মিডিয়াকর্মীদের সঙ্গে উৎসুক জনতার ভিড় লক্ষ করা যায়। তবে সাংবাদিক নেতারা মামলার রায়ে খুশি হতে পারেননি।
আদালতের রায় ঘোষণার পর আসামির স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মানিক সাহা হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন কাজী আবু শাহিন ও এনামুল হক। আর আসামিপক্ষে ছিলেন মামুনুর রশিদ।