প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী শাকিল আর নেই
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান ২-এর ৩৫ নম্বর সড়কের ২৭ নম্বরের বাড়ি জাপানি রেস্তোরাঁ সামদাদো থেকে সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
মাহবুবুল হক শাকিলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (নির্বাহী সেল, বেসরকারি ইপিজেড) সমর কুমার ঘোষ।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করীম বার্তা সংস্থা বাসসকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি শাকিল আজ দুপুরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।’
মাহবুবুল হক শাকিলের বয়স হয়েছিল ৪৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়েসন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বিশেষ সহকারী শাকিলের অকালমৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন বলে বাসসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে শাকিলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে গুলশানের সামদাদো রেস্তোরাঁয় ছুটে যান আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতারা। বিকেলে সেখানে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ সাংবাদিকদের জানান, গতকাল সোমবার রাত ৮টায় শাকিল সামদাদোতে আসেন। সেখানেই তিনি রাতে খাওয়া-দাওয়া করে একটি কক্ষে বিশ্রামে ছিলেন। আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত তাঁর কোনো খবর না পেয়ে রেস্তোরাঁর লোকজন ডাকতে যান। কিন্তু তখন কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরে লোকজন ঘরে ঢুকে মেঝেতে তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ পরে শাকিলের পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়।
মাহবুবুল হক শাকিল এর আগে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব (ডিপিএস) হিসেবে সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদায় দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
মাহবুবুল হক শাকিলের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায়। তাঁর বাবা জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মাহবুবুল হক শাকিল ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে ময়মনসিংহে এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার আইয়ুব আলী জানিয়েছেন, মাহবুবুল হক শাকিলের মৃত্যুর খবরে ময়মনসিংহে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এ দুঃসংবাদ পাওয়ার পর ময়মনসিংহ শহরের বাঘমারা এলাকায় শাকিলের বাসায় ছুটে যান আত্মীয়স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা।
প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও সেখানে যান পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানাতে। সেখানে রয়েছেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার জি এম সালেহ উদ্দিন, পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র ইকরামুল হক টিটু, মহানগর আলীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল প্রমুখ।