চিকিৎসাধীন শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের মৃত্যু, প্রধানমন্ত্রীর শোক
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ খান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বুধবার (৩১ মে) বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
চলতি বছরের ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি ভোরে হারুনুর রশিদ খানের বাড়ির ড্রইং রুমে ডুকে মুখোশধারী তিন সন্ত্রাসী পেছন থেকে তাঁকে পরপর তিনটি গুলি করে। এতে তিনি পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সুস্থ হওয়ার পর তিনি ভারতে চিকিৎসা নেন। ভারত থেকে ফেরার পর তিনি পুনরায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে ঢাকায় এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সর্বশেষ তিনি কোমায় চলে যান। এরই মধ্যে আজ বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে শিবপুরের সর্বস্তরের জনগণ। কান্নায় ভেঙে পড়ে তাঁর স্বজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
হারুনুর রশিদ খানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শিবপুর কলেজ গেট এলাকায় দোকানপাট ও বাসস্ট্যান্ডে শ্রমিক লীগ সমিতিসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন তাঁর সমর্থকরা। ওই সময় চেয়ারম্যানকে গুলির ঘটনায় অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে অভিযুক্ত জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ গ্রুপের সঙ্গে হারুন সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টধাওয়া হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তখন শিবপুর আসনের সংসদ সদস্য জহিরুল হক ভুইয়া মোহনের তোরণ ভাঙচুর করা হয়। আসাদ স্থানীয় মোহনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
হারুনুর রশিদ খানকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে শিবপুর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন চেয়ারম্যানের ছেলে আমিনুর রশিদ খান তাপস। ওই ঘটনায় পুলিশ পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
হারুনুর রশিদ খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রাকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। শোক জানিয়েছেন দলটির সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, জেলার সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।