সাবেক মন্ত্রীর এপিএস ফুয়াদের জামিন বাতিল
টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কমিশন বাণিজ্য, মাদক ব্যবসা, পরিবহণ খাতে চাঁদাবাজিসহ অবৈধভাবে অর্জন করা আড়াই হাজার কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচারের আলোচিত মামলায় সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) এ এইচ এম ফুয়াদের জামিন বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী এবং ফুয়াদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী।
এর আগে গত ১৪ নভেম্বর বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ফুয়াদকে জামিন দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এ রায় স্থগিত করে দেন চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ জুন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত, তার ভাই ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও এ এইচ এম ফুয়াদসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করেন সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ফরিদপুরে এলজিইডি, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন বরকত ও রুবেল। এ ছাড়া মাদক ব্যবসা ও ভূমি দখল করে অবৈধ সম্পদ গড়েছেন তারা। ২৩টি বাস-ট্রাকসহ বিলাসবহুল গাড়ির মালিক হয়েছেন এই দুই ভাই। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ হুণ্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন তারা। রাজবাড়ীতে ১৯৯৪ সালের ২০ নভেম্বর এক আইনজীবী খুন হন। সেই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন বরকত ও রুবেল।
এজাহারে আরও বলা হয়, ২০২০ সালের ১৮ জুন মিরাজ আল মাহমুদ তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বরকত ও রুবেল অন্তত দুই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এ মামলায় ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর রাতে রাজধানী থেকে ফুয়াদকে গ্রেপ্তার করা হয়।