আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর চেপে বসে আছে : মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নতুন সংসদ গঠন করে জনগণের স্বপ্নকে পূর্ণ করতে হবে।’ আজ শনিবার (২৪ জুন) বিকেলে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (বেলস পার্ক) তারুণ্যের সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেছেন, বর্তমান শাসক গোষ্ঠী ১৪/১৫ বছর ধরে নিপীড়ন-নির্যাতন করে জনগণের ওপর চেপে বসে আছে। তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। বিএনপি সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন চায়, সেই নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে, নতুন সংসদ গঠন করে জনগণের স্বপ্নকে পূর্ণ করতে হবে।’
সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শেখ হাসিনা সরকারকে সরানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এদেরকে সরাতে হবে। দফা এক, দাবি এক—শেখ হাসিনার পদত্যাগ।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এদেশের স্বাধীনতাকে যদি রক্ষা করতে হয়, এদেশের গণতন্ত্রকে যদি রক্ষা করতে হয়, এদেশের সার্বভৌমত্বকে যদি রক্ষা করতে হয়, তাহলে আমাদের সামনে কোনো পথ খোলা নেই। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই তরুণদের সামনে এগিয়ে এসে আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। এদেরকে পরাজিত করতে হবে। জনগণকে বিজয়ী করতে হবে’
বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে (বেলস পার্ক) যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে এই ‘তারণ্যের সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হয়। বরিশাল ছাড়াও ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর জেলা থেকেও হাজার হাজার নেতাকর্মী ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে এই সমাবেশে যোগ দেন।
সমাবেশে সিইসির সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান শাসক গোষ্ঠী ১৪/১৫ বছর ধরে নিপীড়ন-নির্যাতন করে জনগণের ওপর চেপে বসে আছে। তারা বলে তাদের অধীনে নাকি ভালো নির্বাচন হয়। কয়েকদিন আগে বরিশাল সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হয়ে গেল। আবার সেই একই ইভিএমকে ব্যবহার করল। আর আমাদের শ্রদ্ধেয় পীর সাহেবকে আঘাত করতে পর্যন্ত দ্বিধা করেনি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার আবার বলে যে, আমাদের অধীনে নির্বাচন হবে, নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। সেই সংবিধানেই লেখা আছে, এই দেশের মালিক জনগণ। কিন্তু সেই জনগণ কি ভোট দিতে পারে? কেউ ভোট দিতে পারেনি। দুই জেনারেশন ভোটই দিতে পারেনি … ১৪ বছর হয়ে গেছে।’
সুইস ব্যাংক প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছুদিন আগেও খবর এলো যে, সুইস ব্যাংকে নাকি বাংলাদেশের অনেক টাকা জমা হচ্ছে। আবার হঠাৎ করে দেখলাম, আমি জানি না কোনো যোগসূত্র আছে জানি না, প্রধানমন্ত্রী যখন সুইজারল্যান্ড গেলেন, তারপরেই দেখছি পত্রিকায় যে, সেই সুইস ব্যাংক থেকে নাকি বাংলাদেশের টাকা উধাও হয়ে গেছে।’
ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে এবং যু্বদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের যৌথ সঞ্চালনায় এই সমাবেশে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, মহানগরের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, জাকির হোসেন নান্নু, এইচ এম তাসলিম উদ্দিন, মাসুদ হাসান মামুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সমাবেশে কবিতা আবৃত্তি করেন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডী, সাংবাদিক সাঈদ খান ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহনাজ পারভিন লিপি।