আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে আগুন, ভাঙচুর
আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে আগুন, ভাঙচুর আর সাভারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সমাবেশস্থলের কাছে মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো টানটান উত্তেজনাকর কর্মসূচি।
আজ শনিবার (২৯ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকায় বিকাশ পরিবহণের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় আরও কয়েকটি বাস ভাঙচুর করা হয়।
এসব ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সে ব্যাপারেও নিশ্চিত করে পুলিশ কিছু জানাতে পারেনি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার দুপুরের দিকে বাসটি ঢাকা থেকে ছেড়ে এসে নবীনগরে যাত্রী নামানোর পর বাইশমাইলের ইউলুপে বাসটি ঘুরিয়ে ঢাকাগামী লেনে আসে। ওই সময় বাসের চালক কয়েকশ গজ দূরে পলাশ পরিবহণের একটি বাস ভাঙচুর করতে দেখে তিনি মহাসড়কে বাসটি ঘুরিয়ে উল্টোদিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ঘুরানোর আগেই পলাশ পরিবহণের বাস ভাঙচুর করা দলটি দৌড়ে এসে প্রথমে বাসটিতে ভাঙচুর এবং পরে বাসে আগুন দিয়ে সেখান থেকে সরে যায়। এ সময় বাসের চালক ও তাঁর সহকারী বাস থেকে নেমে নিরাপদ দূরত্বে চলে যান। খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুড়ে যাওয়া বাসের চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের গাড়ি নবীনগর থেকে ঢাকার আজিমপুরে যায়। আজ বিকেলে বাস ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মির্জানগর ইউলুপ থেকে ঘুরিয়ে নবীনগরের দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় বাসে আমি ও আমার হেলপার ছিল। হঠাৎ পেছন থেকে ৫০-৬০ জনের একটি মিছিল সড়কে এসে বাসে ভাঙচুর শুরু করে। তাদের অনেকের হাতে চাপাতি ও লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র ছিল। এ সময় তারা তিন-চারটি বাসে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর করতে থাকে। মুহুর্তেই আমার বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।’ তবে তারা বিএনপি না আওয়ামী লীগের সেটা জানাতে পারেননি।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম বলেন, একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আরও দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে কারো আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে সেটি নিশ্চিত নই। তদন্ত করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানান, নিরিবিলি এলাকায় একটি বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি বাস ভাঙচুরও করেছে। তবে কারা করেছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুড়ে যাওয়া বাসটি র্যাকারের সাহায্যে সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখন যানচলাচল স্বাভাবিক।