সরকার সাংবিধানিক অধিকার হরণ করছে : লেবার পার্টি
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মানবাধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করেছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ‘সরকার অবৈধ ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে পুলিশ বাহিনীকে গণতন্ত্রকামী জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে প্রতিপক্ষ বানিয়েছে। তারা নির্বিচারে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের দাবিতে সভা-সমাবেশে হামলা-মামলা, গুলি-টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে সাংবিধানিক অধিকার হরণ করছে।’ আজ সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নির্বিচারে হামলা, নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে বাংলাদেশ লেবার পার্টি ঢাকা মহানগর আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. ইরান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করে দেশকে পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ১৫ বছর দুঃশাসন ও ফ্যাসিবাদ কায়েম করে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার অপকৌশল নিয়েছে। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে ১৮৭ দিন হরতাল অবরোধ করেছে, আবার ২০১৩ সালে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে সংবিধান থেকে নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে একদলীয় নির্বাচন হতে দেব না।’
লেবার পার্টি ঢাকা মহানগর সভাপতি এস এম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন মানবাধিকার সংরক্ষণ সংস্থার চেয়ারম্যান এডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন, হিন্দুরত্ন রামকৃষ্ণ সাহা, যুগ্ম-মহাসচিব হুমাউন কবির, মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, যুব বিষয়ক সম্পাদক শওকত চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সদস্য রুম্মান সিকদার, ডেমরা থানা সভাপতি ইমরান আহমেদ, পল্টন থানা যুগ্ম-আহবায়ক মো. খোকন, রমনা থানা সভাপতি বোরহান উদ্দিন, মিরপুর থানা সভাপতি মহিউদ্দিন, ছাত্রমিশনের সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম মামুন, শুভ আহমেদ ও পাঠাগার সম্পাদক মামুনুর রশীদ প্রমুখ।
সমাবেশে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. ইরান সরকার বিরোধী বক্তব্য শুরু করতেই পাশে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া লোকজন হামলা চালানোর চেষ্টা করে। এতে ব্যাপক হট্টগোল ও বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পুলিশ লেবার পার্টির মাইক বন্ধ করে দেয়। এ সময় লেবার পার্টি ও ছাত্রমিশনের কর্মীরা এগিয়ে গেলে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।