মানবতাবিরোধী অপরাধে দুজন গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা। আজ সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের তারানীপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার করা আসামিরা হলেন শ্যামনগর উপজেলার তারানীপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ গাজী (৮৪) ও একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য সুরত আলী গাজী (৭৪)।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তারানীপুর গ্রামের রাজাকার কমাণ্ডার আব্দুল আজিজ গাজী ও সরত আলী মেম্বারের নেতৃত্বে অক্টোবর মাসে কালিনগর গ্রামের বামাচরণ মণ্ডলের ছেলে সুরেন্দ্রনাথ মণ্ডলসহ কয়েকজনকে ধরে ধুমঘাট এলাকায় নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সুরেন্দ্রনাথ মণ্ডলের মেয়ে চন্দনা রানী মণ্ডল টুকু বাদী হয়ে ১৯৯৬ সালে সাতক্ষীরা জজ আদালতে আব্দুল আজিজ ও সুরত আলীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর গ্রেপ্তার হয়ে ওই দুই আসামি দীর্ঘদিন জেলে থেকে হাইকোর্টে থেকে জামিনে মুক্তি পান। পরে মামলাটি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মামলা হিসেবে বিচার শুরু হয়। এ মামলায় আব্দুল আজিজ ও সুরত আলী পলাতক ছিলেন। আজ সকালে ঢাকার কাউন্টার টেরিজম সেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানিজ ফতেমা ও পুলিশ পরিদর্শক কবীর হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে টুকু রানী মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, আন্তর্জাতিক আপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে আব্দুল আজিজ ও সুরত আলীকে সোমবার সকালে সিটিটিসি ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানিজ ফতেমার নেতৃত্বে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।