মানিকগঞ্জে পদ্মাপাড়ে ভাঙন, নদীর পেটে বিদ্যালয় ভবনের এক-তৃতীয়াংশ
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় পদ্মা নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করেছে। ধসে পড়ছে পাড়ের ঘরবাড়ি। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চর মুকুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। চলে গেছে নদীগর্ভে। বাকি অংশ আছে আশঙ্কাজনক অবস্থায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে নদীপাড়ে ভাঙন দেখা দেয়। এ পর্যন্ত নদীতে বিলীন হয়েছে ১২টি বাড়িসহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
স্থানীয় ধুলশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদ খান বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে নদীর তীরে ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে স্কুলসহ অর্ধশতাধিক বাড়িঘর। এরই মধ্যে আবিধারা ও ইসলামপুর এলাকায় ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়েছে ১২টি পরিবার। আর মঙ্গলবার রাতে ভেঙে যায় চর মুকুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের কিছু অংশ। বাকি অংশ ঝুলে আছে। যেকোনো সময় নদীতে বিলীন হতে পারে।’
হরিরামপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তাপসী রাবেয়া বলেন, ‘বিদ্যালয় ভবনটি ধসে পড়ায় শিক্ষার্থীদের পার্শ্ববর্তী ধূলশুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আপাতত ক্লাস করতে বলা হয়েছে।’
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, ‘আপাতত ভাঙন রোধে কাজ করা হচ্ছে। জিও ব্যাগের পাশাপাশি জিও টিউব ডাম্পিং করছি। স্কুলসহ ঘর-বাড়িগুলো রক্ষা করতে আমরা কাজ করছি। আশা করি, ভাঙন রোধ সম্ভব হবে।’