বাগেরহাট-৩ আসনে নৌকার মাঝি হতে চান চিত্রনায়ক শাকিল খান
বাগেরহাট-৩ আসনে (মোংলা-রামপাল) নতুন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে ভোটের মাঠে তৎপর রয়েছেন চিত্রনায়ক শাকিল খানসহ চারজন। এই মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দাবি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তাদের চারজনের মধ্যে একজনকে প্রার্থী করা হলে নৌকা জিতবে। এছাড়া অন্য কাউকে প্রার্থী করা হলে নৌকার ভরাডুবি হবে। তাই আসনটিতে নৌকার মাঝি পাল্টানোর আহ্বান তাদের।
সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে মোংলা বন্দর শ্রমিক-কর্মচারী সংঘ চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত শোকসভায় এসব কথা বলেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।
সভার শুরুতে বক্তব্য দেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ আবু সাঈদ, মোংলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারদার, খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ আবু হানিফ ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি চিত্রনায়ক শাকিল খান। এই চারজনই দীর্ঘদিন ধরে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। তাদের মধ্যে চিত্রনায়ক শাকিল খান, শেখ আবু সাঈদ, শেখ আবু হানিফের বাড়ি রামপালে এবং ইদ্রিস আলী ইজারদারের বাড়ি মোংলায়।
মোংলা উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি শাহজাহান সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকসভার অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন মোংলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইকবাল হোসেন, বাগেরহাট জেলা পরিষদের সদস্য (মোংলা) আব্দুল জলিল শিকদার, মোংলা ও রামপালের ১৬ জনের মধ্যে আটজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
এদিকে, শোকসভায় জড়ো হন মোংলা-রামপালের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থক। সভায় মনোয়নপ্রত্যাশীরা বলেন, আগস্ট মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে।
আসন্ন নির্বাচনে প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, বর্তমান যিনি সংসদ সদস্য আছেন, তাকে আবারও মনোনয়ন দেওয়া হলে নিশ্চিত পরাজিত হবেন।
তাই নতুনদের মধ্যে একজনকে প্রার্থী দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানান তারা।
এই চার মনোনয়নপ্রত্যাশী বিগত নির্বাচনেও প্রার্থী হতে পৃথক প্রচারণা চালালেও এবার এক মঞ্চে উঠেছেন।
সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সব শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।