পুড়েছে সুতা ও স্বর্ণের দোকান, দিশেহারা দোকানিরা
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের ১৮টি সোনার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মার্কেটের নতুন কাঁচা বাজারের সামনে ৯টি ও ভেতরে ৯টি স্বর্ণের দোকান ছিল।
ব্যবসায়ীরা জানান, আলিফ জুয়েলার্স, হেনা জুয়েলার্স, দুবাই জুয়েলার্স, সিঙ্গাপুর জুয়েলার্স, মুন জুয়েলার্স, রিয়াদ জুয়েলার্স ও মা জুয়েলার্স আগুনে পুড়ে গেছে।
দুবাই জুয়েলার্সের মালিক আমির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তার দুটি জুয়েলার্সের দোকান ছিল। ভোর চারটায় খবর পেয়ে মার্কেটে আসেন তিনি। তখনও তার দোকানে আগুন লাগেনি। মার্কেট বন্ধ থাকায় মালামাল সব সরাতে পারেননি।
দুই দোকানে দুই কোটি টাকার জুয়েলার্সের মালামাল ছিল জানিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, মার্কেটের মোট ১৮টি স্বর্ণের দোকান ছিল। সবগুলো পুড়ে গেছে।
সিঙ্গাপুর জুয়েলার্স আবু কাওশার বলেন, আমার দোকানে দুই কোটি টাকার কাছাকাছি মালামাল ছিল। কিছু বের করা গেছে। তবে বেশিরভাগই দোকানে ছিল। এখন দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
স্বর্ণের দোকান ছাড়াও মার্কেটটিতে কাপড়, প্লাস্টিকের মালামাল, ক্রোকারিজ ও ব্যাগের দোকান ছিল।
মার্কেটের ভয়াবহ আগুনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এ মার্কেটে সবজি দোকানের পাশাপাশি জুতার দোকান, স্বর্ণের দোকানসহ অনেক ধরনের দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোতে কোটি কোটি টাকার মালামাল ছিল।
ধানমণ্ডি-মোহাম্মদপুর এলাকার বহু মানুষ তাদের নিত্যদিনের কেনাকাটার জন্য এ মার্কেটের ওপর নির্ভর করতেন। মার্টেকটিতে পাঁচশর বেশি দোকান ছিল। এসব দোকানে কাজ করে দুই হাজারের বেশি মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতেন।
কৃষি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এ মার্কেটের আগুন নেভাতে গিয়েও একই সমস্যার মুখে পড়ে ফায়ার সার্ভিস। পানির উৎস খুঁজতে গিয়ে আগুনের লেলিহান শিখা আরও ছড়িয়ে পড়ে।
ওই মার্কেটের একজন ব্যবসায়ী বলেন, একটা সুতাও বের করতে পারিনি। আমার দোকানে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার মালামাল ছিল।
দিনের আলো ফোটার সঙ্গে ব্যবসায়ীরা আগুনের খবর পেয়ে মার্কেটে আসছেন, ক্ষয়ক্ষতি দেখছেন। এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে— মার্কেটের ডান পাশের অংশ থেকে আগুনের সূত্রপাত। পরে পুরো মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এখন এ মার্কেটের বেশিরভাগ অংশ ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে।
এদিকে রাতে আগুন লাগার পর থেকে ঘটনাস্থলে ভিড় করেছেন উৎসুক জনতা। উৎসুক জনতার কারণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে অসুবিধায় পড়তে হয়।