খন্দকার মোশতাক গুম-খুনের রাজনীতি শুরু করে : মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
১৯৭৫ সালে খন্দকার মোশতাক এবং জিয়াউর রহমান খুন ও গুমের রাজনীতি শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
দিনাজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মায়ের কান্না সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় আজ শনিবার মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘১৯৭৫ সালে খন্দকার মোশতাক এবং জিয়াউর রহমান খুন ও গুমের রাজনীতি শুরু করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সবাইকে হত্যার ঘটনায় বিচার হলেও হত্যাকারীদের যারা প্ররোচনা দিয়েছেন, তাদের বিচার হয়নি। বিশেষ কমিশন গঠন করে জিয়াউর রহমানের বিচার করা সম্ভব। ১৯৭৭ সালে যাদের বিনা বিচারে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, এই ঘটনায় বিশেষ কমিশন গঠন করে বিচার হওয়া উচিত। বাংলাদেশে খুন ও গুম ছিল না। খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান এগুলো শুরু করেন। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার ওপর ২১ বার হামলা চালানো হয়।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০০৪ সালে হাওয়া ভবন থেকে নেত্রীকে হত্যার উদ্দেশে তারেক জিয়া পাকিস্তান থেকে শক্তিশালী গ্রেনেড এনে সরবরাহ করেছিলেন। এরা রক্তপিপাসু, এদের হাতে রক্ত লেগে আছে। বিনা বিচারে মানুষকে হত্যার নেশা তাদের লেগে আছে। জিয়া যেটি শুরু করেছিলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সেখান থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি।’
অনুষ্ঠানে মায়ের কান্না সংগঠনের সভাপতি নাহিদ এজাহার খান এমপির সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন দিনাজপুর সদর ৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম, সংসদ সদস্য আহসানুল চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়া, মায়ের কান্না অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ১৯৭৭ সালে নিহত পরিবারের সদস্যরা। অনুষ্ঠানে তথ্যচিত্র প্রদর্শন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাসের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।