সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। এজন্য বিভিন্ন ধরনের বিশেষ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সরকার শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গাড়িচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ কাজে সফল হতে ব্যাপক জনসচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমের সহায়তা নেওয়া হবে। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সফল হবে সরকার।
আজ রোববার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত সচিবালয়ের পাশে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের সামনের অবস্থান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী এ কথা বলেন। শব্দদূষণ রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকায় আজ এক মিনিট শব্দহীন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মো. মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা শহরের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্কুল-কলেজের স্কাউট সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি (ওয়ার্ড কাউন্সিলর), বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, ট্রাফিক পুলিশের সদস্য ও ঢাকা পরিবহণ মালিক সমিতির সদস্যদের উপস্থিতিতে ব্যানার-ফেস্টুনসহ মানববন্ধন, গাড়িচালকদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
কমলাপুর বৌদ্ধ মন্দির সড়কের অবস্থানে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। এ ছাড়া গুলশান-১ এর অবস্থানে নেতৃত্ব দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, বিজয় সরণি মোড়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ, যাত্রাবাড়িতে বিএফআইডিসির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, গাবতলীতে বিসিসিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জয়নাল আবেদীন; শাহবাগ মোড়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক; মগবাজারে অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম; মহাখালীতে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী; মিরপুর ১০ নং গোলচত্বরে উপপ্রধান বন সংরক্ষক এবং সুফল প্রকল্পের পরিচালক গোবিন্দ রায়; উত্তরায় বন সংরক্ষক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল সরকার প্রমুখ।