না ফেরার দেশে ভাষাসৈনিক মিয়া মতিন, দাফন সম্পন্ন
না ফেরার দেশে চলে গেলেন ভাষাসৈনিক মিয়া আব্দুল মতিন (ইন্নাহ লিল্লাহি ওয়া ইন্নাহ ইলাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মিয়া মতিনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার টনকী গ্রামে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, পাঁচ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
১৯৫২ সালে ভাষাসৈনিক মিয়া মতিন উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। মায়ের ভাষা কেড়ে নিতে চায় পাকিস্তানিরা, এ কথা শোনার পর আর স্থির থাকতে পারেননি। নিজ এলাকার আরও কয়েকজন সহপাঠীকে নিয়ে ভাষার জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু করেন। এজন্য তাকে জেলে যেতে হয়। জেল থেকে বের হয়েও ভাষার জন্য সভা-সমাবেশ করেন মিয়া মতিন। এ জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে ঢাকায় ডেকে নিয়ে শার্ট-প্যান্ট উপহার দেন। জীবিতকালে বিষয়টি নিয়ে তিনি সব সময় গর্ববোধ করতেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মিয়া মতিন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। আজীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন।
তার মৃত্যুতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। বাদআছর জানাজা শেষে নিজ গ্রাম টনকী কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাঁকে রাষ্ট্রীয় দাফন করা হয়।