কারাফটক থেকে ২১ নেতাকর্মী আটকের অভিযোগ বিএনপি-জামায়াতের
উচ্চ আদালত থেকে জামিনের পর মুক্তিকালে বাগেরহাটে কারাফটক থেকে ২১ নেতাকর্মীকে ফের আটক করেছে পুলিশ—এমন অভিযোগ বিএনপি-জামায়াতের। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা কারাগারের ফটক থেকে তাদের দুটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে তাদের মধ্যে বিএনপির ১২ ও জামায়াতে নয় নেতাকর্মী রয়েছেন। এর মধ্যে জেলা বিএনপির সদস্য সরদার ওহিদুল ইসলাম পল্টু, মোংলার সাবেক পৌর কমিশনার আলাউদ্দিনসহ বিএনপি ও জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।
বাগেরহাট জেলা জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক শেখ ইউনুস আলী জানান, উচ্চ আদালত থেকে জামিন এবং অন্য কোনো মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না থাকায় তাদের বেশ কিছু নেতাকর্মীরা সন্ধ্যায় জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। সেখান থেকে অবৈধভাবে পুলিশ নয়জনকে ধরে নিয়ে গেছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘সন্ধ্যায় জামিনে মুক্তি পাওয়া আমাদের নেতাকর্মীদের পুলিশ জেলগেট থেকে তুলে নিয়ে গেছে। জেলাজুড়েই পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে। সরকারি দল ও পুলিশ মিলে বিভিন্ন স্থানে হামলা ও দমন পীড়ন চালাচ্ছে। গেল কদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে। দলের কোনো সক্রিয় কর্মীই বাড়িতে থাকতে পারছে না।’
আটকের বিষয়ে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলেও এ বিষয়ে কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি। তবে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও পুলিশের দুজন কর্মকর্তা বলেন, ‘যাচাই বাছাইয়ের পর কত জন আটক তা জানাতে পারব।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, নেতাকর্মীরা যাতে ঢাকার সমাবেশে না যেতে পারে এজন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। কাড়াপাড়া যুবদলনেতা ওমর ফারুককে মারধরসহ বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমাবেশে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবে কোনো বাধা এই সমাবেশকে বাঞ্চাল করতে পারবে না।