সার্জিক্যাল চশমা ও মাস্ক পরে সড়ক অবরোধ বিএনপির
পুলিশের কাঁদানে গ্যাস থেকে সুরক্ষা পেতে সার্জিক্যাল চশমা ও মাস্ক পরে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা এই সার্জিক্যাল চশমা ও মাস্ক ব্যবহার করেছে।
আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে উপজেলার পাচরুখী এলাকায় এ চিত্র দেখা যায়।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদসহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাফিকুল ইসলাম রাজীব, লুৎফর রহমান আব্দু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম প্রমুখ।
অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাচরুখী এলাকায় বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসে শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশসহ অন্তত অর্ধশত আহত, বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর হয়। পুরো এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ বিএনপির নয় নেতাকর্মীকে আটক করে।
সকাল ৮টায় বিএনপির নেতাকর্মীরা সড়কে গাছের গুঁড়ি, আরসিসি পিলার ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, পুলিশ, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। পরে তারা বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, অবরোধের নামে বিএনপি আড়াইহাজারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাচরুখী এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে। বিএনপির কর্মীদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে এবং ককটেল বিস্ফোরণে ৭ পুলিশ আহত হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। পাচরুখী এলাকাসহ পুরো নারায়ণগঞ্জে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে নারায়ণগঞ্জে গত তিন দিনে পদধারী ৩০ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ অবরোধ চলাকালে স্পট থেকে নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।