ময়মনসিংহে একাধিক অপহরণের অভিযোগে ভুয়া মেজর গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহে একইদিনে একাধিক অপহরণের অভিযোগে তিন সহযোগীসহ র্যাবে কর্মরত মেজর হিসেবে ভুয়া পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের হেফাজত থেকে অপহরণের শিকার তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় ভালুকার মাস্টারবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক এবং তিন অপহৃতকে উদ্ধার করে র্যাব-১৪। এ সময় তাদের কাছ থেকে র্যাব ও ডিজিএফআইয়ের ভুয়া আইডি কার্ড, পাঁচটি মোবাইল ফোন, ৬৬ হাজার টাকা ও একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে র্যাব-১৪ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান। আটকরা হলেন—ভুয়া মেজর রাসেল মাহাবুবুল (৪৩), মনির হোসেন (৪০), মুসা শেখ (২৪) ও সবুজ বিশ্বাস (২৪)।
উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—ব্যবসায়ী রফিকুল তালুকদার (৩৬), হাফিজুল ইসলাম ও বাংলালিংকের কর্মচারী মো. আসাদুজ্জামান।
র্যাবের অধিনায়ক মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামিদের ভালুকা থানায় হস্তান্তর করা হবে। ভুয়া মেজর রাসেলের নামে অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধে তিনটি এবং মনিরের নামে একটি মামলা রয়েছে।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার দিকে টাঙ্গাইলের গোস্ত ব্যবসায়ী রফিকুল তালুকদারকে চোরাই গরুর গোস্ত বিক্রি করছে বলে তুলে নেয় চক্রটি। এ সময় ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা লুট করেন তারা। পরে রফিকুলের স্ত্রীকে ফোন করে ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে বেলা ১১টার দিকে মুক্তাগাছার নিমুরিয়া এলাকায় বাংলালিংকের বিক্রয়কর্মী আসাদুজ্জামানকে সড়কে তার মোটরসাইকেল থামিয়ে তুলে নেয় ভুয়া মেজর রাসেল। পরে তার পরিবারের কাছে ফোন করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে চক্রটি। একইদিন দুপুরে ত্রিশালের রাঙ্গামাটি এলাকায় মুদি দোকানি হাফিজুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। তার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ভুয়া মেজর রাসেল ও তার চক্রের সদস্যরা।’
অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান আরও বলেন, ‘এ ঘটনা জানতে পেরে একই দিন র্যাব-১৪ এর একটি দল বুধবার (১ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ভালুকার মাস্টারবাড়ি থেকে মেজর পরিচয়দানকারী রাসেল মাহাবুবুলকে আটক করে। পরে তার অপর তিন সহযোগীকে আটক করা হয়।’