বাইডেনের ‘কথিত’ উপদেষ্টা মিয়ান আরেফি রিমান্ডে
মর্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ‘কথিত’ উপদেষ্টা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফি ওরফে মিয়ান আরাফিকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী এ আদেশ দেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেী ওরফে মিয়ান আরাফিকে হাজির করে ৫ দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। এরপরে কাশিমপুর কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মিয়ান আরেফিকে আদালতে উপস্থিত দেখানো হয়। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম ওরফে মিয়ান আরাফিকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিক্ষোভ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে আরামবাগ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, সরকারি স্থাপনা ও সরকারি গাড়িসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে। সংঘর্ষে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত ও একজন নিহত হন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বিকেল তিনটার দিকে মহাসমাবেশ স্থগিতের ঘোষণা দেন। বিএনপির এই কর্মকাণ্ডের পরবর্তী সময়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে অন্তত ২০ নেতাকর্মী বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের সামনে উপস্থিত হন। তখন এক নম্বর আসামি মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফী ওরফে মিয়ান আরাফি নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এরপরে গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন থানায় মিয়া জাহিদুল ইসলাম আরেফি ওরফে মিয়ান আরাফির বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলাটি করেন মহিউদ্দিন শিকদার নামে গোপালগঞ্জের একজন বাসিন্দা। মামলায় মিয়ান আরাফি ছাড়াও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা (অব.) লেফট্যান্ট জেনারেল হোসেন সারোওয়ার্দীকে আসামি করা হয়েছে।’ পরবর্তীতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।