বালুর স্তূপে অটোরিকশাচালকের মরদেহ
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বালুর স্তূপ থেকে কিশোর অটোরিকশাচালক আরমান হোসেনের (১৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
উপজেলার ইউনিয়নে দোয়ালিয়া গ্রামে রাস্তার পাশে বালুর স্তূপে পুতে রাখা হয় আরমান হোসেনকে। পরে জুতা দেখে সন্তানের মরদেহ শনাক্ত করেন তার বাবা। সে হাজীগঞ্জ পৌরসভার মকিমাবাদ মজুমদার বাড়ির আবদুল মোতালেবের ছেলে।
গত আট দিন ধরে নিখোঁজ অটোরিকশাচালক আরমান হোসেন। সন্তানকে না পেয়ে থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন বাবা আবদুল মোতালেব।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোস্তফা আহমেদ জানান, স্থানীয়দের কাছে দুর্গন্ধের খবর পেয়ে আমি পুলিশে খবর দেই। পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পংকজ কুমার দে ও হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বালুর স্তূপের নিচ থেকে একটি কিশোরের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
আরমানের বাবা আব্দুল মোতালেব ও মা পাখি বেগমসহ পরিবারের অন্য লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে জুতা ও পরনের প্যান্ট দেখে আরমানের মরদেহ শনাক্ত করে। পরে পুলিশ তাৎক্ষণিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
নিহত আরমানের বাবা মোতালেব বলেন, ‘আরমানকে হত্যা করে লাশ বালুর নিচে চাপা দিয়ে তার অটোরিকশাটি নিয়ে নিয়ে যায় গেছে সন্ত্রাসীরা। আমার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে।’
হাজীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উন্মোচনে কাজ করছে পুলিশ।’