সরকার যা-ই করুক রক্ষা পাবে না : ১২ দলীয় জোট
সরকার যা-ই করুক, রক্ষা পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। তারা বলেন, ‘সরকারের দিন শেষ হয়ে এসেছে। হয় একদফা দাবি মেনে নিয়ে সব রাজবন্দিকে মুক্তি দিয়ে সমঝোতায় আসার শেষ সুযোগ গ্রহণ করতে হবে, নতুবা দেশ ছেড়ে পালানো উপায় খুঁজতে হবে। এই সরকারের সামনে তৃতীয় কোনো পথ খোলা নেই।’
আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। টানা দুই দিনের অবরোধের সমর্থনে এ বিক্ষোভ মিছিল করে জোটটি।
মিছিল শেষে সমাবেশে নেতারা বলেন, ‘মিথ্যাচার করে ধরা খেয়ে সরকারের লেজে-গোবরে অবস্থা। বিদেশি চাপ সামলাতে দিশেহারা অবস্থা সরকারের। বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করার স্বপ্ন পানসে হয়ে গেছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে সেই নির্বাচন ছেলেখেলা হিসেবে গণ্য হবে। দেশে-বিদেশে কারো কাছেই সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হবে না। তাই সরকার এখন চোখে সরষে ফুল দেখছে।’
বক্তারা বলেন, ‘রাজনীতি করা যদি চরিত্রহীনতা হয়, তাহলে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ নির্লজ্জ বেহায়া ও চরিত্রহীনতার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। ১৫ বছর ক্ষমতাসীন থেকেও পারেনি জনগণের মনজয় করতে। নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় থেকে বাঁচার জন্য একের পর এক নোংরামি করে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার উপায় খুঁজছে।’
সরকারের সমালোচনা করে ১২ দলীয় জোটের নেতারা আরও বলেন, ‘নিজেরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও পুলিশ হত্যা করে বিএনপির উপর দায় চাপিয়েছে তারা। ২৮ তারিখে হামলা করে পূর্ব ঘোষিত ও পুলিশের অনুমোদনপ্রাপ্ত মহাসমাবেশটি ভণ্ডুল করে দিয়েছে। এই ন্যাক্কারজনক কাজটি আওয়ামী লীগের পূর্বপরিকল্পিত এবং এটি বাস্তবায়নের জন্য তারা আগে থেকে মহড়া দিয়ে ঘটনার দিন নাটক মঞ্চস্থ করেছে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নোয়াব আলী আব্বাস খান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, প্রধান বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম, শামসুল আহাদ, আবুল মনসুর, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম ও ইসলামী ঐক্য জোটের যুগ্ম মহাসচিব ইলিয়াস রেজাসহ অন্যান্যরা।