এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন : পরিকল্পনামন্ত্রী
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিজের জীবনের শেষ নির্বাচন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার রথপাড়া ও শত্রুমর্দন এলাকার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে। মাঝেমধ্যে অসুখ-বিসুখে ধরে। এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। তাই বিশেষ বিবেচনা করবেন। ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন।‘
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘মানুষ বোঝে শেখ হাসিনার সরকার কাজের সরকার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। এটা যারা জ্বালাও-পোড়াও করে, সেই বিএনপিও স্বীকার করে। তাই নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।’
‘আমাদের ভাটি অঞ্চলে অনেক উন্নয়ন হয়েছে, যা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না’ মন্তব্য করে এম এ মান্নান বলেন, ‘যারা ঢিল মারে, আগুন জ্বালায়, অবরোধ দেয়, রাস্তাঘাটে সিএনজি ভাঙে তারাও এটি অস্বীকার করতে পারবে না। যা দেখা যায়, সেটা কীভাবে অস্বীকার করবে। সড়ক, সেতু, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, গ্রামে গ্রামে হাজার হাজার টিউবওয়েল ও স্যানিটেশন, কমিউনিটি ক্লিনিকে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়াসহ সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। সব সরু সেতু ভেঙে প্রশস্ত করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার, শেখ হাসিনা সরকারের এই উন্নয়নচিত্র কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।’
‘শেখ হাসিনা প্রকৃত জন দরদী’ উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা ভাটির মানুষ, গ্রামের মানুষ, আমরা জানি আমাদের প্রকৃত দরদি শেখ হাসিনা। সুতরাং আমাদের নিজের স্বার্থে দরকার শেখ হাসিনার সরকার। আরও সড়ক, আরও পুল আরও হাসপাতাল আরও স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদ-মন্দির, গোরস্থান-শ্মশান এগুলো তো আমরা চাই। সেজন্য আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে, শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করতে হবে। আর শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিলে আমাকে বিবেচনা করবেন। কারণ, এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন।’
উপস্থিত মুরব্বিদের উদ্দেশে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা গ্রামে বসবাস করেন, আপনারা গ্রামের নেতা। আপনাদের কথা মানুষ শুনে এবং বিশ্বাস করে। আপনারা সত্য কথাটা মানুষকে জানাবেন। কারও কুপরামর্শে আমরা নিজের ক্ষতি করব না।’
এ সময় শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা, শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার রথপাড়া ও শত্রুমর্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন করার কথা ছিল পরিকল্পনামন্ত্রীর। কিন্তু নির্বাচনি আচরণবিধির প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি তা না করে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।