হাতুড়ি পেটায় ব্যবসায়ী হত্যা, দুজন গ্রেপ্তার
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর এলাকা থেকে মামুন হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের পাশের একটি ধান খেত থেকে আজ রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ট্রাকের চালক ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি, টাকার জন্য মামুনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা খুনের বিষয়টি স্বীকারও করেছে। ওই দুজনের কথা মতো ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত মামুন নওগাঁ সদর উপজেলার উল্লাসপুর গ্রামের আলেফ আলীর ছেলে। তিনি স্যানিটারি ও সিমেন্টের তৈরির খুঁটির ব্যবসা করতেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—ট্রাক চালক সুমন হোসেন (২৭) ও সজিব হোসেন (২৫)। তাদের বাড়িও উল্লাসপুর গ্রামে।
বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন মহাদেবপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফ্ফর হোসেন। তিনি জানান, গত শুক্রবার সুমনের ট্রাকে করে বৈদ্যুতিক খুঁটি নিয়ে নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যান মামুন। ওই ট্রাক চালকের সহযোগী হিসেবে তাদের সঙ্গে ছিলেন সজিব। খুঁটিগুলো পৌঁছে দিয়ে এক লাখ ৩৮ হাজার টাকা নিয়ে ট্রাকে করেই বাড়িতে ফিরছিল তারা।
শনিবার গভীর রাতে নওগাঁ-রাজশাহী সড়ক ভীমপুর গ্রামে টাকার জন্য মামুনকে ধারাল অস্ত্র ও হাতুড়ি পিটিয়ে হত্যা করে রাস্তার পাশের ধান খেতে ফেলে রেখে বাড়িতে চলে সজীব ও সুমন।
ছেলে বাড়ি না ফেরায় সুমন ও সজিবকে জিজ্ঞাসা করে মামুনের মা। তবে, তারা এর কোনো সদুত্তর দিতে পারে না। বিষয়টি প্রতিবেশীদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য রুবেল হোসেন ওই দুজনকে ডেকে মামুনের বিষয়ে জানতে চান। কিন্তু, তাদের কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় তিনি থানা পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে ঘটনাস্থলে এসে সদর থানার পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করে। পুলিশ তাদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারে, খুনের ঘটনাটি ঘটেছে মহাদেবপুরে। পরে বিষয়টি মহাদেবপুর থানাকে জানায় সদর থানা পুলিশ। এরপর রাস্তার পাশের ধানখেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহালসহ যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুমন ও সজিব হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ ঘটানয় আজ নিহতের ছোট ভাই ইমরান হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।’