জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মামলা, শিক্ষকের পরিবারের ওপর হামলা
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আদালতে মামলা করেছিলেন এক নারী। মামলার জেরে ওই নারীর পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এতে আহত হয়েছেন ওই নারী, তার শিক্ষক ছেলেসহ তিনজন। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা বাঁশকান্দি ইউনিয়নের শেখপুর বাজার সংলগ্ন বাজিতপুর গ্রামে গত রোববার রাতে হামলার এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় শিবচর থানায় সোমবার রাতে মামলা করে ভুক্তভোগী শিক্ষক পরিবার। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার তারা মিয়া নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন- বাজিতপুর গ্রামের সূর্য মিয়া শিকদারের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (৬৫), তার ছেলে শিক্ষক সুমন শিকদার (৩৫) ও মেয়ের জামাই আলমাছ মোল্লা।
অভিযুক্তরা হলেন- ওই ইউনিয়নের মৃর্জারচর সিপাই কান্দি গ্রামের নজরুল মোল্লা (৪৫), তায়েব মোল্লা (২৮), আফজাল মাদবর (৪৪), বাজিতপুর গ্রামের আকাশ শিকদার (৩০), সাগর শিকদার (৪৩), তারা মিয়া শিকদার (৫০) ও রাশেদ শিকাদর (২৮)।
অভিযোগ ও ভূক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে জমিজমা বিরোধের জেরে মাদারীপুর আদালতে রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলা করাকে কেন্দ্র করে আসামিগণ ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার রাতে বাদির বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ওই তিনজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে আসামিরা। বাড়িটিতে থাকা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে যায়। ভুক্তভোগীদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে দিকে আহত সুমন শিকদার বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষক সুমন শিকদার বলেন, ‘আমি একটি হাই স্কুলের শিক্ষক। আমার পরিবারের ওপর হামলায় আমি, আমার মা ও ভগ্নিপতি আহত হয়েছি। তারা আমাদের কুপিয়েছে ও পিটিয়েছে। থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’
এ বিষয়ে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করছি। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’