ভোলার লালমোহনে বাস চাপায় শিশুসহ দুই পথচারী নিহত হয়েছে। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।

উপজেলার পৌরশহরের লাঙ্গলখালী ব্রিজ এলাকায় আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরে বিক্ষুদ্ধ জনতা তিনটি বাস ভাঙচুর করে।

নিহতরা হলেন, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের করম আলীর ছেলে আব্দুল জব্বার (৫০) ও পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভুট্টু মিয়ার ছেলে মো. হাসনাঈন (৫)। আহতেরা হলেন, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল মান্নানের ছেলে খোরশেদ আলম নাগর হাওলাদার ও লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের অন্নদা প্রসাদ এলাকার মনোরঞ্জনের ছেলে পুরুন জিৎ দাস।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চরফ্যাশন থেকে জেলা শহর ভোলায় যাচ্ছিল বাসটি। যানটি লালমোহনের লাঙ্গলখালী ব্রিজ থেকে নামার সময় সামনে দিয়ে হঠাৎ করেই দুই শিশু দৌড় দেয়। এ সময় বাস চালক শিশুদের রক্ষা করতে গিয়ে বাসটিকে বাঁ দিকে ঘুরালে সড়কের পাশে থাকা তিন পথচারী বাসের নিচে চাপা পড়ে। এতে গুরুতর আহত হন এক শিশুসহ ওই তিন পথচারী। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল জব্বার ও হাসনাঈনকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া খোরশেদ আলমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল পাঠানো হয়েছে।

লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মো. তৈয়বুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার শিকার চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। যাদের মধ্যে এক শিশুসহ দুজন মারা গেছে। আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল রেফার্ড করা হয়েছে। বাকি একজন লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

অন্যদিকে, দুর্ঘটনায় দুজন নিহতর খবরে তিনটি যাত্রিবাহী বাস ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। লালমোহন ফায়ার সার্ভিসের সামনে একটি ও পৌরসভা ভবনের সামনে দুটি বাস ভাঙচুর করা হয়।

এ বিষয়ে লালমোহন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘাতক বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।