কোল্ড স্টোরেজে ৬ লাখ ডিম, বাজারজাতের নির্দেশ ভোক্তা অধিকারের
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তিনটি কোল্ড স্টোরেজে অভিযান চালিয়ে ছয় লাখ পিস ডিমের মজুদ পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফতুল্লার দাপায় রহমত উল্লাহ কোল্ড স্টোরেজ, ধর্মগঞ্জে শাহীন অ্যান্ড ব্রাদার্স ও আদর্শ কোল্ড স্টোরেজে এই অভিযান চালানো হয়।
অভিযান চালিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর শাহীন অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে কোল্ড স্টোরেজে পাঁচ লাখ ৯১ হাজার পিস ডিম মজুদের চিত্র দেখতে পায়। পরে ডিমের মালিক তাজুল ইসলাম ও মাসুদুর রহমান মাসুদকে আজই ডিমগুলো কোল্ড স্টোরেজ থেকে বের করে বাজারজাত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। না হলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিজ দায়িত্বে ডিমগুলো জব্দ করে বাজারে সরবরাহ করবে।
অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল, নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ ক্যাবের জয়েন্ট সেক্রেটারি বিল্লাল হোসেন রবিন ও জেলা পুলিশের একটি দল।
উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস জানান, সরকার ডিম আমদানির অনুমতি দেয়ার পর থেকে ডিমের দাম কমতে শুরু করে। এরই মধ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কোল্ড স্টোরেজে ডিম মজুদ করা শুরু করে দিয়েছে এমন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এদের উদ্দেশ্য হচ্ছে আবার ডিমের বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা। তাদের এ অপচেষ্টা প্রতিরোধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিশেষ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সারা দেশে কেউ ডিম মজুদ করার চেষ্টা করলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ব্যবস্থা নেবে। অসাধু ডিম ব্যবসীয়দের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।