শেষ চার মামলায় আমীর খসরুর জামিন শুনানি রোববার
রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার নাশকতার অভিযোগের শেষ চার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।
এর আগে আদালতে বিএনপিনেতা আমীর খসরুকে নাশকতার আট মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে এবং এসব মামলায় জামিন চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানি করেন তার আইনজীবীরা। দুপর সোয়া ২টার পরে এসব মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার মামলা ৬০(১০)২৩, পল্টন থানার নাশকতার মামলা ০৭(১১)২৩, রমনা থানার নাশকতার মামলা ২৪(১০) ২৩ ও রমনা থানার নাশকতার মামলা ২৫(১০)২৩ এ বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন। এরপরে অন্য চারটি মামলার নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে থাকার কারণে বিচারক নথিপ্রাপ্তি সাপেক্ষে শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন নির্ধারণ করেন।
আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দুপুরে চার মামলায় ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় বিচারক আমীর খসরুকে জামিন দেন। এরপরে বিকেলে আরও চার মামলায় শুনানি হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু নথি শুনানির জন্য প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক আগামী রোববার শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন।
এদিকে আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ শুনানিতে বলেন, আমীর খসরুর নাম এজাহারে নেই। এছাড়া এ মামলায় প্রধান আসামি মির্জা ফখরুল ইসলাম জামিনে রয়েছেন। তিনি জামিনে অপব্যবহার করবেন না। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন। এরপরে বিচারক সহ-আসামি শর্তে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে গতকাল রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হক এই আদেশ দেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। প্রথমে দুটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এরপর বাকি আট মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাতে এবং এসব মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। এর মধ্যে রমনা মডেল থানায় চারটি এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে। গত ২ নভেম্বর দিনগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।