দেশ আজ গভীর সংকটে নিপতিত : অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম
আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, সরকার লুটেরাদের স্বার্থেই দেশের জ্বালানি খাতকে আমদানি নির্ভর করে তুলেছে। ফলে দেশ আজ গভীর সংকটে নিপতিত। আজ রোববার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি। সেখানে উপস্থিত নেতারা সারা দেশে গ্যাস ও জ্বালানি খাতের সংকট নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখে সরকার বাংলাদেশকে প্রস্তর যুগে ঠেলে দিচ্ছে। কলকারখানা সহ বাসা বাড়ির রান্নার গ্যাসও সরকার এখন সরবরাহ করতে পারছে না। এই সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনও হুমকির মুখে পড়েছে। ডলার সংকটের কারণে আগামীতে জ্বালানি আমদানি আরও কঠিন হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যেই ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাদের রিপোর্টে জ্বালানি খাতকে প্রধান সংকট হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে এক হাজার ঘনফুট, যা এই অর্থ বছরে দেড় হাজার ঘনফুট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থনৈতিক সংকটে জ্বালানি আমদানি করতে না পারায় এই সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে। তিনি বলেন, বেশিরভাগ বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্যাস ভিত্তিক হওয়ায় গ্যাস সংকটে বিদ্যুৎ খাত ধসে পড়তে পারে।
সরকারের অসচেতনতা ও নির্বিকার ভাবের নিন্দা জানিয়ে তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ভারত ও মিয়ানমার সরকার যেখানে বঙ্গোপসাগরে তেল, গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের এ জাতীয় সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা খুবই সন্দেহজনক। তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে আমদানি নির্ভর করে তোলা হয়েছে শুধুমাত্র সরকারের কিছু সিন্ডিকেট লুটেরাদের সুবিধার্থে। আমরা মনে করি, নিজেদের তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন কর্যক্রম বন্ধ রেখে জনগণের টাকা লুটপাটের জন্যই একটি আমদানি নির্ভর জ্বালানি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। যে কারণেই দেশ আজ এই গভীর সংকটে নিপতিত।’
এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। আরও বক্তব্য দেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। উপস্থিত ছিলেন দলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এ বি এম খালিদ হাসান ও মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন।
এ ছাড়া এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব আহমাদ বারকাজ নাসির, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, মহানগর উত্তরের নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, ফেরদৌসী আক্তার অপি, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব শীলা আক্তার, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।