ইজতেমায় আরও চার মুসল্লির মৃত্যু
৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে আরও চারজন মুসল্লি মারা গেছেন। এ নিয়ে এই পর্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন—রাজবাড়ী জেলা পাংশা থানার মো. সানোয়ার, চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানার আব্দুল জলিলের ছেলে মো. আলম, নরসিংদী জেলার নুরুল হকের ছেলে মো. শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া ও সিরাজগঞ্জ জেলার মৃত ওসমান গনীর ছেলে আল মাহমুদ।
এবারের ইজতেমার দ্বিতীয় দিন সকাল পর্যন্ত একজন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ইজতেমা ময়দানে সাতজন, ময়দানে আসার পথে একজন পুলিশ সদস্যসহ তিনজনের মৃত্যু হয়।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন—শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত সমশের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলা জেলার পরাগগঞ্জ থানার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আ. কাদের (৫৫), নেত্রকোণা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫), নেত্রকোণা থানার কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০) ও জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০)।
এ ছাড়া ইজতেমা ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া তিনজন হলেন—ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০), ইজতেমায় দায়িত্ব পালন করতে আসার পথে বাসচাপায় পুলিশের এএসআই হাসান উজ্জামান (৩০) শুক্রবার ভোরে মারা যান।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান ও টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহাঙ্গীর আলম তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।