সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহী শেভরন : জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে অংশগ্রহণ বাড়াতে চায় মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন। এতোদিন এ কোম্পানিটি আমাদের দেশের স্থলভাগে তেল-গ্যাস উত্তোলনে কাজ করতো, এখন সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানেও আগ্রহ দেখিয়েছে।
আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সরকারি সফরের অংশ হিসেবে হবিগঞ্জ জেলায় বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড পরিদর্শন ও কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
এসময় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ মোল্লাহ, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোয়েব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ২ ও ৯ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেভরন ২৮ বছর ধরে বাংলাদেশে কাজ করছে। তারা এখন সমুদ্রেও কাজ করতে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দরপত্রে অংশ নিতে চায় বলে আমাকে জানিয়েছে।
ব্রিফিংয়ে শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরিক এম ওয়াকার বলেন, আমরা সাগরের সিসমিক সার্ভের ডাটা নিরীক্ষা করছি। সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের বিষয়ে আমরা আগ্রহী।
নসরুল হামিদ বলেন, শেভরন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে কাজ করছে। শেভরন বিশ্বমানের সেফটি ব্যবহার করে। দেশের গ্যাস চাহিদার অর্ধেকের বেশি শেভরন সরবরাহ করছে। এক সময় শেভরন দিনে ১৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ করেছে। এখন উৎপাদন কমে ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমেছে, সামনে উৎপাদন আরও কমবে। তবে ২০২৭ সালের দিকে আবার উৎপাদন বাড়তে থাকবে, ২০৩১ সালের দিকে আবার ১৪০০ মিলিয়নে যাবে। শেভরন নতুন এলাকায় অনুসন্ধান শুরু করেছে তারা আশা করছে ওই এলাকায় বড় মজুদ পাওয়া যেতে পারে। এজন্য একাধিক কূপ খনন করছে শেভরন।