১৭ কেজি কষ্টিপাথরের বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার, আটক ৩

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় ১৭ কেজি কষ্টিপাথরের একটি বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় দেবীগঞ্জের বানুরহাট এলাকা থেকে মূল্যবান ওই বিষ্ণুমূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।
এ সময় ডিবি পুলিশ মূর্তি বিক্রি চক্রের তিন সদস্যকে আটক করে। আটক ব্যক্তিরা হলেন দেবীগঞ্জ উপজেলার বন্দিরাম এলাকার শাহীন শাহ (৪০), তেঁতুলিয়া উপজেলার কৃষ্ণকান্তজোত এলাকার হাবিবুর রহমান (৪৮) ও একই উপজেলার শহিদুল ইসলাম (৫৫)।
ডিবি পুলিশ জানায়, কষ্টিপাথরের মূর্তি বিক্রি চক্রের সদস্যদের ধরতে কয়েক মাস ধরে কাজ করছিল ডিবি পুলিশের একটি দল। এমনকি পুলিশ ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করে বিক্রেতাদের সঙ্গে। কথা মতো আজ সন্ধ্যায় দেবীগঞ্জ উপজেলার বানুরহাট এলাকার ওষুধ বিক্রেতা শাহীন শাহের ফার্মেসিতে ওই বিষ্ণুমূর্তিটি ব্যাগে করে দেখাতে নিয়ে আসে তেঁতুলিয়ার হাবিবুর ও শহিদুল। তাঁদের দাবি মূর্তিটি তাঁরা পাথরের সাইটে পেয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে দরদাম ঠিক হয় পাঁচ লাখ টাকা। এদিকে আগেই ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল বাজার এলাকায় অবস্থান নেয়। ব্যাগে করে মূর্তিটি আনা মাত্রই কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তিসহ তিনজনকে আটক করে তারা।
কষ্টি পাথরের মূর্তিটির ওজন ১৭ কেজি। উচ্চতা ২৯ ইঞ্চি, প্রস্থ ১১ ইঞ্চি। যার বাজারমূল্য প্রায় সাত কোটি টাকা।
পঞ্চগড় ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বলেন, ওষুধ বিক্রেতা শাহীন দীর্ঘদিন ধরে এই মূর্তি বিক্রি চক্রের সঙ্গে জড়িত। আমরা পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় কয়েক মাস ধরে তাঁর উপর নজরদারি করি। একপর্যায়ে ক্রেতা সেজে আজ তাদের হাতেনাতে আটক করি। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।