বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, গত বছরের ২৮ অক্টোবর আমাদের ওপর যেটা হয়েছে সেটা নির্মম নির্যাতন, বর্বরোচিত হামলা। এমন নারকীয় ঘটনা ১৯৭১ সালে পাক বাহিনীরাও ঘটায়নি বাংলাদেশে।

আজ শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে লিফলেট বিতরণপূর্ব এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপণ্যের মূল্য কমানোর দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এই  লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করে।

জেলখানার অবস্থা তুলে ধরে মির্জ্জা আব্বাস বলেন, ‘১৫ বছরে বার বার জেলখানায় গেছি। এবারে করুন অবস্থা আমি বর্ণনা করতে পারব না। এতো করুণ অবস্থা আমাদের নেতাকর্মীদের রাখা হয়েছিল। এবার নিপীড়ন-অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে গেছে যেটা সহ্য করা যায় না, বর্ণনা করা যায় না।’

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার এবং বাক স্বাধীনতার আন্দোলন চলবে জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনো বৃথা যায়নি, সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। ২৮ অক্টোবর প্রথম চক্রান্ত শুরু হয়েছে। সেই প্রথম থেকে একটা চক্রান্ত হচ্ছে একটা নকশা করে, একটা ডিজাইন করে, যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে, যাতে বিএনপি নির্বাচনে আসতে না পারে।’ মনোবল ঠিক রাখা ও নিজেদের মধ্যে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটাতে হবে নেতাকর্মীদের প্রতি এমন নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের পতন ঘটানোর জন্য ঐক্যের কোনো বিকল্প নাই। অনেক সহ্য করেছেন, আরও সহ্য করতে হবে। কতদিন? সেটা বলা সম্ভব না।’

২৮ অক্টোবর নেতাকর্মীদের ওপর যেটা হয়েছে সেটা নির্মম নির্যাতন, বর্বরোচিত হামলা-এমন দাবি করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এমন নারকীয় ঘটনা ১৯৭১ সালে পাক বাহিনীরাও ঘটায়নি বাংলাদেশে।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য রফিক শিকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রদলের নতুন সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, ছাত্রদল নেতা মুঞ্জুরুল আলম রিয়াদ, জকির উদ্দিন আবির, মামুন দেওয়ান, সাফি আহমেদ, শাহজাহান শাওন, তরিকুল ইসলাম তারিক, রঞ্জুসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।