সরকার ইফতার পার্টি বন্ধ করেছে, এরা হচ্ছে জালিম : মান্না
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, রোজার মাস, সিয়াম সাধনার মাস। এই মাসে ছাত্রলীগের গুন্ডারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রোজাদার ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সরকার ইফতার পার্টি বন্ধ করেছে, এরা হচ্ছে জালিম। দেশের মানুষ খেতে পায় না, আওয়ামী লীগ নেতারা লুট করে বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ছে।
আজ বুধবার (২০ মার্চ) এবি পার্টি আয়োজিত মাসব্যাপী গণইফতারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।
এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্যসচিব শাহ আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণইফতারে সভাপতিত্ব করেন পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক। বক্তব্য দেন পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার, সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হাসান সহ এবি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা।
মান্না বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইফতার পার্টি বন্ধ করেছেন, তার গুন্ডা বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ইফতার পার্টি করলে সেখানে হামলা চালাচ্ছে। দেশে প্রায় ১০ কোটি হতদরিদ্র মানুষ রয়েছে, তাদের মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে। লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে অথচ গরিবের ইফতার সরকারের সহ্য হচ্ছে না।’
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘গরিব মানুষের খাবারের উদ্যোগ নেওয়া আওয়ামী লীগের দায়িত্ব ছিল অথচ সেই কাজ করছে এবি পার্টি।’
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘সারা দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েছে। অথচ সরকার বলে, দেশে নাকি ভিক্ষুক নেই। এর মাধ্যমে মূলত তারা গরিব মানুষের অধিকারকে অস্বীকার করছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দুর্ভিক্ষ হয়, চুরি ছিনতাই শুরু হয়।’
শহীদুল্লাহ্ কায়সার বলেন, ‘আমরা একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের অধীনে আছি। আমাদের কথা বলার অধিকার নাই, মানুষ বাজারে যেতে পারছে না দ্রব্যমূল্যের কারণে। রমজানে মানুষ ঠিকমতো সাহরী করতে পারছে না, ইফতার করতে পারছে না।’
গণইফতারে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহ্বায়ক এ বি এম খালিদ হাসান, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার ফারুক, আব্দুল হালিম খোকন, গাজী নাসির, উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ কবির, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মশিউর রহমান মিলু, শরণ চৌধুরী, পল্টন থানার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সী, ছাত্রনেতা মোহাম্মদ প্রিন্স, হাসিবুর রহমান খান, যাত্রাবাড়ী থানার সমন্বয়ক সি এম এইচ আরিফসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।