ভৈরবে ট্রলারডুবিতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে নিখোঁজ কনস্টেবল
ভৈরবে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৬ জন। এর মধ্যে ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানা, তার স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছেন। তাদের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ গ্রামে। উদ্ধার কাজ চলমান থাকলেও এখন পর্যন্ত তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ফতেহাবাদ গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে সোহেল রানা ২০১১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পান। ট্রলারডুবির খবরে সোহেলের পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের মধ্যে আহাজারি চলছে।
দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ১নং ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেলের বাবা, মা ও পরিবারের সদস্যরা ভৈরবে ছুটে যান। ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যদের না পেয়ে তারা বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সোহেল রানার পরিবারের কারও মরদেহ পাওয়া যায়নি বলে জানতে পেরেছি।
ভৈরব নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, নিখোঁজদের মধ্যে ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), তার স্ত্রী মৌসুমি (২৫), মেয়ে মাহমুদা (৭) ও ছেলে রাইসুল (৫) রয়েছেন। নৌপুলিশ তাদের উদ্ধারে কাজ করছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে ভৈরব সেতু এলাকা মেঘনা নদীর পাড় থেকে একটি নৌকা নিয়ে ১৬ জন যাত্রী আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরবে ফেরার পথে মাঝ নদীতে নৌকাটিকে একটি বাল্কহেড ধাক্কা দেয়। এতে নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন ও নৌ পুলিশ ৯-১০ জনকে উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে এক নারীকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তোফাজ্জল হক (২২) নামের এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। এসময় রুবা নামের এক ছাত্রী ও পুলিশ কনস্টেবলের ভাগনেসহ কয়েকজন সাঁতরে পারে উঠলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজু মিয়া জানান, ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ নদীতে ট্রলারটি উদ্ধারে চেষ্টা করছে। কিন্তু অন্ধকার থাকায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়।