ঝণ্টুর দাম লাখ টাকা!
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারি ও কৃষকদের দেশীয় পদ্ধতিতে গরু-ছাগল মোটাতাজাকরণের গল্প নতুন নয়। তবে এবার একটি নতুন খবর তৈরি করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নাউড়ি গ্রামের আলাল উদ্দিন (৪৩)। তাঁর পালিত ঝণ্টুর দাম হাঁকা হচ্ছে লাখ টাকা। তাই তিনি ও তাঁর ঝণ্টু এখন আলোচনায় ওঠে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল চত্বরে প্রদর্শনীর একটি স্টলে গিয়ে দেখা মিলে ঝণ্টুর। ঘটনাটি এখন ‘টক অব দ্য ময়মনসিংহে’ পরিণত হয়েছে।
ঝণ্টু প্রায় সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার যমুনাপাড়ি জাতের ছাগল। বর্তমানে তার ওজন ৯০ কেজি। স্টলের খুঁটিতে বাঁধা ঝণ্টু তার মালিকের হাত থেকে কাঁঠাল গাছের পাতা খাচ্ছে।
মালিক মো. আলাল উদ্দিন জানান, প্রায় তিন বছর আগে প্রতিবেশী এক ভাইয়ের কাছ থেকে আনুমানিক আট মাস বয়সী এই যমুনাপাড়ি জাতের ছাগলের বাচ্চাটি নয় হাজার টাকায় কিনেন তিনি। আদর করে তার নাম দেন ঝণ্টু। এরপর দুই বছর ধরে তাকে আদর যত্ন দিয়ে লালন-পালন করছেন। এ ছাড়া তাঁর খামারে আরও কয়েকটি গরু-ছাগল রয়েছে।
স্টলে আকর্ষণীয় ঝণ্টু দেখতে সাদা-বাদামি রঙের। মাথায় বড় দুটি শিঙে লাল ফিতা বাঁধা, লম্বা দুটি কান ঝুলে আছে। গলায় পরানো হয়েছে লাল কাপড়ে কারুকাজ করা একটি মালা। বেশ বড় আকারের ঝণ্টুকে দেখতে আলাল উদ্দিনের স্টলে ভিড় জমাচ্ছে উৎসুক মানুষ।
এর আগে যমুনাপাড়ি জাতের আরও তিনটি ছাগল পালন করে কোরবানির ঈদে প্রতিটি ছাগল ভালো দামেই বিক্রি করেছেন আলাল উদ্দিন।
আলাল উদ্দিন বলেন, আগে ছাগলের দাম কম ছিল। এখন ছাগলের দাম বেড়েছে। এখানে বিক্রি করতে না পারলেও কোরবানি ঈদে আশা করছি ঝণ্টুকে লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারব। ইতোমধ্যে ঝণ্টুর দাম বলা হয়েছে ৮০ হাজার টাকা, কিন্তু বিক্রি করেননি তিনি, ফেরত নিয়ে গেছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, যমুনাপাড়ি জাতের ছাগলের শরীরের গঠন সাধারণত লম্বাটে হয়। অনেকে খামার আকারে এ জাতের ছাগল পালন শুরু করেছে। তাদের মধ্যে আলাল উদ্দিন বেশ কয়েক বছর ধরে এ জাতের ছাগল পালন করছেন। এতে তিনি আর্থিকভাবেও লাভবান হয়েছেন।