চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৯ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্ত্তী এই রায় ঘোষণা করেন। এদিন এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে বিচারক এই রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি সাদিয়া আফরিন এ বিষয়ে জানিয়েছেন।
গত বছরের ৫ এপ্রিল রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে আশীষ কুমার রায় চৌধুরীকে একটি কালোকাচের সাদা গাড়িতে করে র্যাব সদর দপ্তরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বহরে আরও তিনটি মাইক্রোবাস ছাড়াও র্যাবের একাধিক গাড়ি ছিল। এর আগে, ওই দিন রাত সাড়ে ৯টায় আশীষ রায় চৌধুরীর বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযান চলাকালীন ২৩ বোতল মদ পান তাঁরা। এ ছাড়া এ সময় তাঁরা দুই নারীকেও আটক করেন। ওই দুজনের সঙ্গে আশীষ কুমার রায় চৌধুরীর কী সম্পর্ক, তা জানার জন্য জেরা করা হবে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, আশীষ চৌধুরীকে যে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা তাঁর নামে নয়, একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নামে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। সেটা আশীষ চৌধুরী নেননি। ওই বাসায় একাধিক নারীর যাতায়াত ছিল।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে নায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার দিনই নিহত সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় আদনান সিদ্দিকীকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারি আসামি আদনান সিদ্দিকীসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, তারিক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আশীষ কুমার রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, ফারুক আব্বাসী ও সানজিদুল ইসলাম ইমনকে আসামি করা হয়।