বে গ্রুপের চেয়ারম্যান শামসুর রহমানের প্রথম জানাজা আজ
বে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শিল্পপতি শামসুর রহমান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গত সোমবার (১৩ মে) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টায় সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমের প্রথম জানাজা নামাজ আজ বুধবার (১৫ মে) বাদ জোহর ঢাকার হাজারীবাগে লেদার কলেজ মাঠে হবে। বাদ মাগরিব গুলশানের আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাদ জোহর শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাটস্থ সরকারি শামসুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে তৃতীয় এবং হাটুরিয়া মিঞা বাড়ি বাদ আসর চতুর্থ জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
শামসুর রহমান দেশের একজন প্রথিতযশা শিল্পপতি ছিলেন। চামড়া খাতে ৪০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন এ পথিকৃৎ ১৯৪২ সালের ১ এপ্রিল শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা খলিলুর রহমান এবং মা সফুরা বেগম এলাকায় সমাজসেবী ও অত্যন্ত দানশীল ব্যক্তি ছিলেন।
শামসুর রহমান বে গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। অত্যন্ত প্রতিভাবান ও পরিশ্রমী এ ব্যক্তিত্ব ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন। ক্যারিয়ারের প্রথমভাগে তিনি স্বেচ্ছায় অবসরে গিয়ে ১৯৭৭ সালে বে ট্যানারিজ লি. প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার কর্মজীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করেন, যা বর্তমানে বে গ্রুপ হিসেবে মহীরুহে বিকশিত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সংস্থার সহ সভাপতি এবং বাংলাদেশ ফিনিশড্ লেদার, লেদার গুডস্ ও ফুটওয়ার এক্সপোর্টারস্ এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ছিলেন। তিনি কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ পাদুকা খাতে ষোলবার জাতীয় রপ্তানি ট্রফি লাভ করেন।
শামসুর রহমান একজন দানবীর ছিলেন। দেশের দরিদ্র জনসাধারণের শিক্ষা ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে তার অপরিসীম অবদান অনস্বীকার্য। পল্লীগ্রাম এবং অনগ্রসর এলাকায় তিনি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, এতিমখানা, হাসপাতাল ও অনেক দাতব্য প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় অবস্থিত সরকারি শামসুর রহমান কলেজের তিনি প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়াও তিনি সেখানে তার মায়ের নামে আলহাজ্ব সফুরা বেগম মহিলা কলেজ, সামন্তসার উচ্চ বিদ্যালয়, পিতা মাতার নামে খলিলুর রহমান ফাজিল মাদরাসা, আলহাজ্ব সফুরা বেগম শিশু সদন এবং ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে গাউছিয়া ফাজিল মাদ্রাসা স্থাপন করেন।