ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজধানীতে ভোগান্তি
ঘূর্ণিঝড় রিমাল দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছে রাতভর। এতে জানমালের ক্ষতি হয়েছে। রিমালের প্রভাব পড়েছে রাজধানীতেও। গতকাল রোববার (২৬ মে) রাত থেকে বৃষ্টি ঝরছে। কখনও মুষলধারে, কখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। এতে শহুরে অফিসগামী ও প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে, হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়া বের হয়েছে, এমন অধিকাংশ মানুষকে ভিজতে হয়েছে।
মিঠু হালদার নামের এক গণমাধ্যমকর্মী রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গিয়েছেন আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনে। তিনি রিকশা নিয়ে নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত গিয়েছেন। তারপরও বৃষ্টির কারণে ভিজে গেছেন। আবার রিকশা ভাড়াও দিয়েছেন ১৮০ টাকা। মিঠু বলছিলেন, অথচ, এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ভাড়া ১০০ টাকা। কেউ আসে না দ্বিগুন ভাড়া না দিলে। উপায় না পেয়ে রিকশায় উঠেছেন।
এদিকে রাজধানীর ফার্মগেটের ফুট ওভার বিজ্রের নিচে বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘আমি উত্তরা যাব। বাস পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাড়িয়েঁ আছি। বাস কম। দু-একটা বাস যা আছে, তা একেবারে ভরা। কাছে ছাতাও নেই। সেজন্য ভেজার ভয়ে ফুট ওভার ব্রিজের নিচে দাঁড়িয়ে আছি।’
অন্যদিকে রাজধানীর খামার বাড়ি থেকে বৃষ্টির মধ্যে হেঁটে যেতে দেখা যায় কলেজ ছাত্রী রহিমা সুলতানাকে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, এভাবে ঘাড়ে ব্যাগ নিয়ে ভিজছেন কেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘রিকশাভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি চায়। সেজন্য, ভিজে যাচ্ছি। পড়ালেখা করতে এমনিতেই অনেক খরচ।’
নির্বাচন কমিশনে চাকরি করেন রফিকুল ইসলাম। তিনি অফিসে আসার সময় ভিজে যান। পরে তার শরীর কাঁপতে থাকে। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে জ্বর এসেছে। শরীর খারাপ লাগছে। তাই কোনো উপায় না পেয়ে বাসায় চলে যাচ্ছি।’
শান্তিনগর, নতুনবাজার, বাড্ডা, মগবাজার, মালিবাগ, মিরপুর ১১ নম্বর, পল্লবী, কালসি, মিরপুর ১০ নম্বরসহ পুরো রাজধানীজুড়েই ভারী বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অফিসগামী মানুষ বাসের জন্য অপেক্ষায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ বাসে উঠতে পারলেও অনেকে উপায় না পেয়ে অটোরিকশা ভাড়া করে গন্তব্যে ছুটছেন। আবার যাদের কাছাকাছি অফিস তারা হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছেন।