সরকারের লক্ষ্য বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা : মির্জা ফখরুল
সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্থপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের আত্মার মাগফেরাতের জন্য তার মাজার জিয়ারত করেছি। আমরা দোয়া করেছি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য ও তার মুক্তির জন্য।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা দোয়া করেছি, বর্তমানে চলমান আন্দোলনে সারা দেশের মানুষ যার দিকে তাকিয়ে আছে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্থতা ও তার দেশে ফিরে আসার জন্য। আমরা দোয়া করেছি, আমাদের শত শত নেতাকর্মী যারা কারাগারে আটক রয়েছেন তাদের মুক্তির জন্য। আমাদের গণতন্ত্রের আন্দোলনে যে সকল নেতাকর্মী শাহাদত বরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করেছি। মামলা-মোকদ্দমায় যারা নির্যাতিত, নিপীড়িত হচ্ছেন তাদের মুক্তির জন্য আমরা দোয়া করেছি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে নির্বাসিত, একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করার জন্য শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ বিভিন্ন ধরনের কলাকৌশল করে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে-তারা আজকে ক্ষমতাকে দখল করে আছে। আমরা আজ শাহাদাত বার্ষিকীতে শপথ নিয়েছি, যুবক-তরুণ লড়াই করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করব, এটাই হচ্ছে আজকের দিনের শপথ।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি দুর্বৃত্তদের কবলে। বাংলাদেশে এখন লুটেরা মাফিয়াদের দখলে। এরা একদিকে যেমন রাজনৈতিক অধিকার হরণ করছে। তেমনি দেশের অর্থনীতিকে লুটপাট করে ধ্বংস করছে। এদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে একটা পরনির্ভরশীল ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করছি, ইনশাআল্লাহ আমরা বিজয়ী হব।’
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ডক্টর আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, হাবিবুল নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুসহ বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।