মোটরসাইকেল মালিকদের জন্যে বড় দুঃসংবাদ
বাইকারদের জন্য এলো বড় দুঃসংবাদ। বাইকের খুচরা যন্ত্রাংশের দাম বাড়ছে। ফলে বাইক মেরামতে গুনতে হবে বাড়তি টাকা। পাশাপাশি মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ওয়েলের দামও বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সব দিক দিয়ে বাড়তি টাকা গুনতে হবে বাইকারদের।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবনা করেন অর্থমন্ত্রী। সেখানে তিনি এ প্রস্তাব করেছেন। বাজেট পেশের সময় মোটরসাইকেল ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির কথা জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী কিছু প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিন সংযোজন করছে। এ ধরনের মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহ দেওয়ার উদ্দেশে মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন পার্টসসমূহকে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের উপকরণ আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করছি। পণ্যসমূহের আমদানির বিপরীতে আরোপণীয় তিন শতাংশের অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক এবং সমুদয় রেগুলেটরি ডিউটি ও সম্পূরক শুল্ক হতে অব্যাহতি প্রদান করার প্রস্তাব করছি। তবে, ২৫০ সিসির ঊর্ধ্বসীমার ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেলের জন্য যন্ত্রাংশগুলো আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ ধার্য করার সুপারিশ করছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ কাস্টমস ট্যারিফ এ মোটরসাইকেলের ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ ধার্য করার সুপারিশ করছি।
এছাড়া ইঞ্জিন ওয়েলের বিষয়ে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশে হাইব্রিড গাড়ি এবং আধুনিক প্রযুক্তির মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি পাচ্ছে। এতে সিনথেটিক লুব্রিকেটিং অয়েলের ব্যবহার বাড়ছে। এর আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য অনেক বেশি। তবে আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কায়ন পর্যায়ে ন্যূনতম মূল্য নির্ধারিত নেই। ন্যূনতম মূল্য টনপ্রতি ৫ হাজার ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে ইঞ্জিন ওয়েলের দাম বাড়তে পারে।