আনার হত্যাকাণ্ডে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা নজরদারিতে আছেন : ডিবি
আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঝিনাইদহের কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ভারতে সংসদ সদস্য আনারকে হত্যার পর আসামিরা কার কার কাছে শেয়ার করেছে, তা তদন্ত চলছে। ছবি দিয়ে কেউ আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে কি না, কাদের মাধ্যমে আর্থিক লাভবান হয়েছে, সবগুলো বিষয় তদন্ত করে বের করা হচ্ছে। এ ছাড়া এই ঘটনায় ঝিনাইদহের আরও কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
ঝিনাইদহের আওয়ামী লীগের কিছু নেতা নজরদারিতে রাখছেন, একজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডেও এনেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আপনারা জানেন, মামলাটি তদন্তাধীন এবং বাংলাদেশে একটি মামলা হয়েছে ও ভারতে একটি মামলা হয়েছে। দুই দেশের উদ্দেশ অভিন্ন। আমরা কাজ করছি। আসামির সঙ্গে কথা বলেছি।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা সব তথ্য-উপাত্ত বিচার-বিশ্লেষণ করে মনে করেছি ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন, এ জন্য তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনেছি। তার রিমান্ড চলছে, তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। ঘটনা ডিবি-ওয়ারি বিভাগ তদন্ত করছে।
হত্যাকাণ্ডের পর দুই কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এগুলো আমরাও শুনেছি, সবকিছু তদন্ত করছি। হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহীন বাংলাদেশ থেকে দিল্লির পর কাঠমান্ডু এরপর দুবাই থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন। তাকে আমরা ধরতে না পারলেও মোটামুটি বাকি সব আসামিদের বিষয়ে জানতে পেরেছি। আসামিদের অনেককেই গ্রেপ্তার করেছি, ভারতে জিহাদ গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ছাড়া কাঠমান্ডু থেকে গ্রেপ্তার সিয়ামকে ভারতে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রয়োজন মনে করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যাব।
হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহিনের ব্যবহৃত দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।