ডেঙ্গু প্রতিরোধে ড্রোন দিয়ে কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে : তাজুল ইসলাম
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/06/11/tajul-islam-lgerd-minister-1.jpg)
ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের কারণে ড্রোনের মাধ্যমে মশার প্রজনন কেন্দ্র চিহ্নিত করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানান মন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সংসদ সদস্য মো. খসরু চৌধুরী।
এ সময় তাজুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে রাজধানীসহ সারা দেশে এ কার্যক্রম চলমান। ঢাকা-১৮ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আগের মতো ২০২৪ সালেও ডিএনসিসি বছরব্যাপী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সিটি করপোরেশনের সব ওয়ার্ডে প্রতিদিন লার্ভিসাইডিং এবং অ্যাডাল্টিসাইডিং করা হয়। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে রোগীর বাড়ি পরিদর্শন ও এর চারপাশে লার্ভিসাইডিং এবং অ্যাডাল্টিসাইডিং করা হয়ে থাকে। ড্রোনের মাধ্যমে মশার প্রজনন ক্ষেত্র চিহ্নিত করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর হটস্পটগুলোতে বিশেষভাবে নজরদারি করা হয়। মশকনিধন কর্মীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, স্কাউট, জনপ্রতিনিধি ও ইমামদের সম্পৃক্ত করে বিশেষ মশকনিধন অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের এডিপির ডেঙ্গু মোকাবিলা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের জন্য এ অর্থবছরে ৩২ কোটি এবং পৌরসভায় ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা খাতের আওতায় ইউনিয়নের অনগ্রসরতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় ১০০ কোটি টাকা সংস্থান রাখা হয়েছে।