চাঁদপুরে বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ
দীর্ঘদিন পর চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ। আগামী জুলাই মাস থেকে ইলিশের ভরা মৌসুম শুরু হচ্ছে। নদীর পানি বৃদ্ধি ও বৃষ্টি হলে পদ্মা-মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়বে রূপালী ইলিশ। যদিও ইলিশ আহরণ শুরু থেকে আশানুরূপ ইলিশের দেখা পায়নি জেলেরা।
এদিকে দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা ইলিশের সরবরাহে কিছুটা প্রাণ ফিরেছে বড়স্টেশন মাছঘাটে। সরবরাহ বাড়ায় কর্মব্যস্ততা বেড়েছে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখরিত মৎস্য আড়ত।
দুপুরে মাছঘাট ঘুরে দেখা গেছে, দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা ইলিশ শ্রমিকরা ঝুপড়ি করে আড়তের সামনে স্তূপ করছে। পরে সেই ইলিশ ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। সকালে ভোলার চরফ্যাশন থেকে তোফায়েল মাঝিসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ২০০ মণ ইলিশ বিক্রির জন্য মাছঘাটে আসেন।
মেসার্স এসএম মামুন ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী হাজী মালেক খন্দকার বলেন, আড়তে ইলিশগুলো দক্ষিণাঞ্চল থেকে এসেছে। এখানকার খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীদের মাঝেই এসব ইলিশ বিক্রি হবে। ঈদের এই সময়টাতে যা সরবরাহ হবে, তা স্থানীয়দের চাহিদা মিটাবে।
সোহাগ গাজী নামের আরেক ব্যবসায়ী জানান, এক কেজি ওজনের প্রতি কেজি ১৭০০-১৮০০ টাকা। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। এছাড়া ছোট আকারের ইলিশ এক হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত। সরবরাহ বাড়লে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুম শুরু হলে ইলিশের সরবরাহ আরও বাড়বে। আমরা এ বছর জাটকা সংরক্ষণের কাজটি সফলভাবে করেছি। এটির সুফল সামনে পাওয়া যাবে।