পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, আগামীতে বন্যা থেকে সুনামগঞ্জের মানুষকে রেহাই দিতে সরকার কাজ করবে। এই বিষয়গুলো দেখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সুনামগঞ্জে এসেছি। সেই সাথে বন্যায় সুনামগঞ্জে হাওরের বাঁধের কি কি ক্ষতি হয়েছে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তা দেখতে এসেছি।

আজ বুধবার (২০ জুন) বিকেলে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ও বিরামপুর বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সুনামগঞ্জে প্রতিবছর বন্যা হয় কিন্তু এবছর বেশি বন্যা হয়েছে। সরকার সুনামগঞ্জের ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় মানুষের পাশে ছিল। এবছরও সরকার জেলা প্রশাসক ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বন্যাকে মোকাবিলা করে মানুষ যাতে চলতে পারে সে-ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে আরও আশ্রয়কেন্দ্র ও খাদ্য সহায়তা বাড়ানো হবে। এছাড়া বন্যা শেষে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ও সড়ক নির্মাণে দ্রুত কাজ করা হবে। হাওরে প্রতিবছর বন্যা হবে, মেঘালয়ের বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢল নেমে হাওরাঞ্চল প্লাবিত হবে, এটা মেনে নিয়েই এ অঞ্চলে বসবাস করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রীর সাথে এসব আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী সংসদ সদস্য এমএ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য রঞ্জিত কুমার সরকার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, পুলিশ সুপার এহশান শাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন প্রমুখ।