সাবেক ছাত্রলীগনেতা ফুয়াদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
ধর্ষণের অভিযোগে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক শামসুল ইসলামের আদালতে মামলাটি করেন ইডেন কলেজের সাবেক এক ছাত্রলীগনেত্রী। শুনানি শেষে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদককে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভিকটিম ২০১৩-১৪ সেশনে ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন। ২০১৪ সালে বান্ধবীদের নিয়ে টিএসসিতে আড্ডা দিতে যান। সেখানে গিয়ে ফুয়াদ হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারা ফোন নম্বর আদান-প্রদান করেন। পরে ফোনে তাদের কথা হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট তারা কক্সবাজার ঘুরতে যান। সেখানে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। পরদিন তারা শরীয়াহ মোতাবেক বিয়ে করেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে ভিকটিমের গর্ভে বাচ্চা এলে তা নষ্ট করার কথা বলেন ফুয়াদ। ভিকটিম এতে রাজি না হলে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে ওষুধ মিশিয়ে জুস খেতে দেয়। জুস খাওয়ার পরে ভিকটিম অসুস্থ হয়ে পড়লে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামি ভিকটিমকে বিয়ে রেজিস্ট্রির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেন।
২০২২ সালের মার্চ মাসে ভিকটিম বিয়ে রেজিস্ট্রি করার জন্য আসামিকে চাপ দিলে তিনি কিছুটা সময় চান। বলেন, তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ২০২২ সালে সম্মেলন শেষ হলে বিয়ে রেজিস্ট্রি করব। ২০২২ সালে আসামি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ পায়। এই ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য ভিকটিম ফুয়াদের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায় যে, সে অন্য একজনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি আগের মতো ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করলে তাকে বিবাহ রেজিস্ট্রি করার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে ভিকটিমকে মারধর করে জীবননাশের হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন।
এ বিষয়ে ফুয়াদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এই বাদী আমার সঙ্গে বহু পূর্ব থেকে বিভিন্ন কায়দায় প্রতারণা করে আসছেন। এ থেকে পরিত্রাণের জন্য আমি এই তার বিরুদ্ধে গত ৫ জুন ঢাকার সিএমএম আদালতে দণ্ডবিধির ৪০৬/৪১৯/৪২০/৪৬৯/৫০০ ধারায় মামলা করেছি। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি আমলে গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।